ঢাকা, রবিবার, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ মে ২০২৪, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

কর্মস্থলে যোগদান-বকেয়া বেতনের দাবিতে খনি শ্রমিকদের বিক্ষোভ 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০২২
কর্মস্থলে যোগদান-বকেয়া বেতনের দাবিতে খনি শ্রমিকদের বিক্ষোভ 

দিনাজপুর: স্ব-স্ব কর্মস্থলে যোগদানসহ করোনা কালীন বকেয়া বেতন ভাতার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন দেশের একমাত্র উৎপাদনশীল দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির শ্রমিকরা। এসময় ২১ এপ্রিলের মধ্যে দাবি না মানলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন তারা।

মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ১১টায় বড়পুকুরিয়া খনির গেট থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে কয়লা খনি বাজার প্রদক্ষিণ করে খনি গেটে এসে শেষ হয়।

বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণ করা বক্তারা বলেন, আমরা খনির কার্যক্রমের শুরু থেকে কয়লা খনির আন্ডারগ্রাউন্ডে প্রায় ৪৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায় কয়লা উত্তোলন করে এসেছি। করোনা ভাইরাসের কারণে সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতেও লকডাউন ঘোষণা করে। ওই সময় আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করি এবং করোনা কালীন কিছু সংখ্যক শ্রমিক দিয়ে কয়লা উত্তোলন অব্যাহত রাখি।

তারা আরও বলেন, করোনার প্রকোপ কমে গেলে পরবর্তী সময়ে সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী সব সরকারি-বেসরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান চালু হলেও অজ্ঞাত কারণে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে আমাদের স্ব-স্ব কর্মস্থলে খনি কর্তৃপক্ষ যোগদানের কোনো উদ্যোগ নেয়নি। খনি কর্তৃপক্ষ ঘোষিত করোনা কালীন বেতন ভাতা না পাওয়ায় আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। আগামী ২১ এপ্রিলের মধ্যে শ্রমিকদের স্ব-স্ব কর্মস্থলে যোগদানসহ করোনা কালীন বকেয়া বেতন ভাতা প্রদান না করলে আমরা কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দিতে বাধ্য হবো।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি রবিউল ইসলাম রবি, সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নূর ইসলাম শ্রমিক নেতা এহসানুল হক সোহাগ, এরশাদ আলী ও আবু তাহের প্রমুখ।

জানা যায়, গত ১১ এপ্রিল এসব দাবি জানিয়ে খনি কর্তৃপক্ষের কাছে একটি স্মারকলিপি দেয় বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন। ওইদিন ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী মঙ্গলবার এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন শ্রমিকরা। যেটি ২০ ও ২১ এপ্রিল পর্যন্ত চলমান থাকবে বলে জানানো হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ২১১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০২২
আরএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।