ঢাকা: রাজধানীর যাত্রাবাড়ী কোনাপাড়ায় ফ্রিজের কম্প্রেশার মেশিন বিস্ফোরণে শিশুসহ একই পরিবারের ৩জন দগ্ধের ঘটনায় চিকিৎসাধীন আব্দুল করিম (৩০) ও তার স্ত্রী খাদিজা আক্তার (২৫) মারা গেছেন।
সোমবার (২৫ এপ্রিল) মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইউব হোসেন।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
তিনি জানান, করিমের শরীরে ৫৪ শতাংশ ও খাদিজার ৯৫ শতাংশ দগ্ধ ছিল। আইসিইউতে আজ ভোরে তাদের মৃত্যু হয়েছে। তাদের দেড় বছরের মেয়ে ফাতেমা আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছে। তার শরীরের ৩৫ শতাংশ দগ্ধ রয়েছে। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
এদিকে মৃত খাদিজার বড় ভাই সুরুজ রানা জানান, আইসিইউতে ভোর সাড়ে ৪টায় মারা যায় খাদিজা। তার এক ঘণ্টা পর মারা গেছে করিম। তাদের মরদেহ গ্রামের বাড়ি পাবনা সুজানগরে নিয়ে যাওয়া হবে।
এর আগে ২০ এপ্রিল দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে যাত্রাবাড়ী কোনাপাড়া আড়াবাড়ি বটতলার আব্দুল কালামের ৪তলা বাড়ির নিচ তলাতে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
দগ্ধদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া বাড়িটির তৃতীয় তলার ভাড়াটিয়া মোহাম্মদ হাসান জানান, রাতে খাদিজা সেহরি রান্না করতে উঠেছিলেন। এরপর চুলা জ্বালাতে বিকট শব্দে বিস্ফারণ হয়। এতে বাসার ভেতরে থাকা তিনজন দগ্ধ হয়। বিস্ফোরণের শব্দ শুনে দৌড়ে বাসায় গিয়ে তারা দেখেন জিনিসপত্র আগুন জ্বলছে। এসময় ওই তিন জন দৌড়ে বাসা থেকে বাইরে বের হয়। পরে তাদেরকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান তারা। আর দ্রুত তারাই আগুন নিভিয়ে ফেলেন।
তিনি জানান, বাসায় গিয়ে ফ্রিজের নিচের অংশ ক্ষতবিক্ষত অবস্থা দেখতে পেয়েছেন। তাদের ধারণা ফ্রিজের কম্প্রেসার মেশিন বিস্ফোরণে এ ঘটনা ঘটেছে।
স্বজনরা জানান, তাদের বাড়ি পাবনা সুজানগর উপজেলার বনাখোলা গ্রামে। আব্দুল করিম, স্ত্রী খাদিজা ও মেয়ে ফাতেমাকে নিয়ে বটতলার ওই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। কোনাপাড়ায় করিমের একটি মুদি দোকান রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২২
এজেডএস/এনএইচআর