ঢাকা, রবিবার, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

টিআইবির তথ্যে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২২
টিআইবির তথ্যে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ঢাকা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, টিআইবি এমন কিছু তথ্য তুলে ধরে, যাতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। এছাড়া দেশের মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়।

সোমবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টায় সচিবালয়ের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

জাহিদ মালেক বলেন, আমরা সব সময় দেশের দেশের মুখ উজ্জ্বল করার জন্য কাজ করি। অনেক সংস্থা আছে যারা, তার মধ্যে টিআইবি হয়তো এই বিষয়টা গুরুত্ব দেয় না। তারা এমন কিছু তথ্য তুলে ধরে যাতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়, দেশের মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়।  

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রায় ১২ কোটি ৮৪ লাখ টিকা দিয়েছি। যার মধ্যে টিআইবি সার্ভে করেছে ১৮০০ লোকের ওপর। এত ছোট্ট পরিসরে এই সার্ভে সঠিক তথ্য দেয় না। এই সার্ভে থেকে যেসমস্ত কথা তুলে ধরা হয়েছে, সেগুলো সঠিক হয়নি।  

টিআইবির প্রতিবেদন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারা বলেছে প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রায় অর্ধেক লোক টিকা পায়নি। প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রায় তিনকোটি লোক থাকে। প্রায় ৯৬ শতাংশ টিকা দেয়া হয়েছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের অর্ধেক টিকা না পেলে প্রায় দেড় কোটি বা দুই কোটি লোক টিকা পায়নি। এটা সঠিক নয়। আমারা জনগণকে টিকা নিতে সচেতন করতে পারি নাই, এটাও সঠিক না। আমরা সচেতন না করলে প্রায় ৯৬ শতাংশ লোক কিভাবে টিকা নিল। টিআইবি বলছে ৪০ লক্ষ ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে লোক টিকা পায়নি। দেশের ষাটোর্ধ লোক রয়েছে প্রায় এক কোটির কিছু বেশি। তাহলে কিভাবে তার ৪০ শতাংশ লোক টিকা পায়নি। এখন ষাটোর্ধ লোক কেউ টিকা নেওয়া বাদ নেই। আবার যারা নেয়নি টিকা, তারা স্বেচ্ছায় নেয়নি। এই তথ্য মোটেও সঠিক না। এটা উদ্দেশ্য প্রণোদিত।  

মন্ত্রী আরও বলেন, টিকা নিতে গিয়ে কিছু ক্ষেত্রে নাকি ঘুষ দিতে হয়েছে। টাকার অংকটা হচ্ছে ৬৭ টাকা। এটা আমি মেনে নিতে পারছি না। আজকাল ফকিরকেও ৬৭ টাকা দিলে নেয় না। দুই থেকে তিনটি কেন্দ্রে নাকি দেড় হাজার টাকা ঘুষ নেওয়া হয়েছে। কথাগুলো সঠিকভাবে বলা হয়নি। মহিলাদের জন্য টিকাকেন্দ্রে আলাদা ব্যবস্থা করা হয়নি। এগুলো ভুল, আমার মহিলাদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করেছি। আমরা মনে করি টিআইবি কথাগুলো উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বলেছেন। আমাদের ভাবমূর্তি খাটো করার জন্য।  

টিকা ক্রয়ের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, করোনার টিকা ক্রয় যতটা স্বচ্ছতা অবলম্বন করা যায় , আমরা ততটাই স্বচ্ছতা অবলম্বন করেছি। আমরা ভারতের কাছ থেকে টিকা ক্রয় করেছি। চায়নার কাছ থেকে জিটুজি পদ্ধতিতে ক্রয় করেছি। আমরা non-disclosure ফরমে স্বাক্ষর করেছি বলে, সব কিছু বলতে পারি না। আমরা কোভ্যকস থেকে কষ্ট শেয়ার পদ্ধতিতে টিকা ক্রয় করেছি প্রায় ১০ কোটি। প্রায় সাড়ে ৯ কোটির বেশি টিকা আমরা ফ্রি পেয়েছি। আমরা ৪০ হাজার কোটি টাকার টিকা দেশের মানুষকে দিতে সক্ষম হয়েছি। যার মধ্যে আমাদের খরচ হয়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা, আর ২০ হাজার কোটি টাকার টিকা আমরা বিনামূল্যে পেয়েছি, সব মিলে আমরা ৪০ হাজার কোটি টাকার টিকা দিতে সক্ষম হয়েছি। টিকা বিষয়ে আমাদের কার্যক্রম খুবই ট্রান্সপারেন্ট তবে ট্রান্সপারেন্সি বাংলাদেশ এই বিষয়ে ইনট্রান্সপারেন্স কাজ করেছে।
 
আমরা টি আইবির প্রতিবেদনে প্রত্যাখ্যান করছি প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব সাইফুল ইসলাম বাদল, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাসার খুরশিদ আলম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২২
আরকেআর/এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।