ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৬ মে ২০২৪, ০৭ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

প্রধানমন্ত্রীকে মাছ খাওয়াতে চান রুশা রানি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২২
প্রধানমন্ত্রীকে মাছ খাওয়াতে চান রুশা রানি

ঢাকা: স্বামীর ধরা মাছ রান্না করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খাওয়াতে চান  প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ঘর পাওয়া উপকারভোগী রুশা রানি মালো।

ঈদের আগে তৃতীয় ধাপে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘর পেয়েছে আরও ৩২ হাজার ৯০৪ গৃহ ও ভূমিহীন পরিবার।

মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে এসব ঘর হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সে বিভিন্ন এলাকার উপকারভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন।

ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার কাইচাইল ইউনিয়নের পোড়াদিয়া বালিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন রুশা রানি মালো। কয়েকদিন আগেও মাথা গোঁজার ঠাঁই ছিল না তার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে ঈদ উপহার হিসেবে তিনি পেয়েছেন দুই শতাংশ জমি ও ঘর। এসএসসি পাস রুশা রানির স্বামী জেলে। নদীতে মাছ ধরেই সংসার চলে তার।

প্রধানমন্ত্রীকে রুশা রানি বলেন, ‘আমি আমার স্বামীর ধরা মাছ আপনাকে রান্না করে খাওয়াতে চাই। আপনি আমাদের দেখতে আসবেন। ’

প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে রুশা বলেন, ‘আমাদের কোনো জায়গা-জমি ছিল না। কোনোদিন ভাবিনি একটা ঘর হবে। আপনি আমাদের উপহার হিসেবে জমিসহ পাকা ঘর দিয়েছেন। এই ঘর পেয়ে আমরা অনেক খুশি। ’

ফরিদপুর ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে চট্টগ্রামের আনোয়ারার বারখাইন ইউনিয়নের হাজিগাঁও, বরগুনা সদর উপজেলার গৌরিচন্না ইউনিয়নের খাজুরতলা এবং সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার খোকশাবাড়ী ইউনিয়নের খোকশাবাড়ীর উপকারভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন।

একযোগে সারাদেশের উপকারভোগীদের হাতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ঘরের চাবি তুলে দেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

তৃতীয় ধাপে এসব ঘর প্রদানের আগে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ঘর পেয়েছেন ১ লাখ ১৭ হাজার ৩২৯টি পরিবার। তৃতীয় ধাপের আরও ৩২ হাজার ৭৭০টি ঘর নির্মাণাধীন রয়েছে।

আশ্রয়ণের প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের চেয়ে তৃতীয় ধাপের ঘরগুলো অনেক বেশি টেকসই। তৃতীয় ধাপে একেকটি ঘর নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ টাকা। তৃতীয় ধাপের ঘরগুলোতে আরসিসি পিলার, গ্রেড ভিম, টানা লিংকটারসহ বেশ কিছু বিষয় সংযোজন করা হয়।

ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্চ্বাস, নদী ভাঙন কবলিত ভূমিহীন, গৃহহীন ও ছিন্নমূল মানুষকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সরাসরি তত্ত্বাবধানে ‘আশ্রয়ণ’ নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করেন তৎকালীন সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা। এ প্রকল্পের আওতায় ১৯৯৭ সাল থেকে ২০২২ সালে মার্চ পর্যন্ত ৫ লাখ ৭ হাজার ২৪৪ ভূমিহীন এবং গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় সুবিধাভোগীদের মধ্যে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, হিজড়া, বেদে সম্প্রদায়সহ সমাজের পিছিয়ে পড়া ভাসমান বিভিন্ন জনগোষ্ঠীও রয়েছে।

আরও পড়ুন:
উপহারের ঘরে বসে প্রধানমন্ত্রীর জন্য রহিমার নকশি কাঁথা সেলাই
‘এমন খুশির ঈদ কখনো পাইনি’
প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেল ৩৩ হাজার পরিবার

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২২
এমইউএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।