ঢাকা, শনিবার, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

জোড়া খুনের ঘটনায় ৮১ জনকে আসামি করে মামলা, গ্রেফতার ৪

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৪ ঘণ্টা, মে ৮, ২০২২
জোড়া খুনের ঘটনায় ৮১ জনকে আসামি করে মামলা, গ্রেফতার ৪

ফরিদপুর: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জোড়া খুনের মামলায় স্থানীয় সাবেক এক ইউপি চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামি করে ৮১ জনের নামে বোয়ালমারী থানায় মামলা হয়েছে।  

রোববার (৮ মে) বিকেলে ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী-বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা সার্কেল) সুমন কর বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

 

উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের চর দৈত্তরকাঠি গ্রামের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আহম্মেদের ছেলে এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা জামান সিদ্দিকী বাদী হয়ে শনিবার (৭ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে মামলাটি করেন। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এজাহারনামীয় ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে।  

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গ্রাম্য দলাদলি নিয়ে বিরোধ থাকায় আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে বাদী গোলাম মোস্তফা জামান সিদ্দিকী, তার পরিবার এবং দলীয় লোকজনদের খুন জখম করার কু-মতলবে লিপ্ত ছিল। ঈদের দিন আসামিরা বাদিপক্ষের লোকেদের ঘেরাও করে বাঁশের লাঠি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে এবং চাপাতি, ছ্যানদা ও রামদা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। জখমপ্রাপ্ত আকিদুল মোল্যা, খায়রুল ইসলাম, আলমগীর, মাসুদ, জিল্লুর রহমান, মাজেদ ফকির, আমজেদ শেখের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় স্থানীয়রা তাদের সঙ্গে সঙ্গে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আকিদুল মোল্যাকে মৃত ঘোষণা করেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে খায়রুলও মারা যান।

এ ঘটনার চারদিন পর উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের চর দৈত্তরকাঠি গ্রামের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আহম্মেদের ছেলে এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা জামান সিদ্দিকী বাদী হয়ে ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মো. ফারুক হোসেনকে প্রধান আসামি করে শনিবার (৭ মে) রাত সাড়ে ৮টায় বোয়ালমারী থানায় মামলা দায়ের করেন। হত্যা করার লক্ষ্যে মারধর করে সাধারণ, গুরুতর জখম, খুনসহ চুরি, ক্ষতিসাধন ও হুকুমদানের অপরাধে ১৪৩/৪৪৭/৪৪৮/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩০২/৩৮০/৪২৭/১১৪/৩৪ ধারায় এ মামলা করেন।  

মামলার অপর আসামিরা হলেন- গোহাইলবাড়ি গ্রামের ছমদু শেখের ছেলে মো. নওশের শেখ (৪৫), বজলুর রহমানের ছেলে মাহবুবুর রহমান মুহিত (২৮) ও মো. আরিফুর রহমান (৩৮), নওশের মোল্যার ছেলে আনোয়ার মোল্যা (২৪) ও ছানোয়ার মোল্যা (২২), হাকিম ফকিরের ছেলে হারমুজ ফকির (৩৪), আকবর মোল্যার ছেলে ইকরাম মোল্যা (৩২) ও ইমাম মোল্যা (৩৪) প্রমুখ।

পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এজাহারনামীয় আসামি গোহাইলবাড়ি গ্রামের ছমদু শেখের ছেলে নওশের শেখ (৪৫), একই গ্রামের দেলোয়ার মোল্যা (৩৪), চণ্ডিবিলা গ্রামের মতিয়ার রহমান (৪২) ও দেলোয়ারকে (৪০) গ্রেফতার করেছে।  

এ ব্যাপারে ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী-বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা সার্কেল) সুমন কর বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২১ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০২২
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।