বান্দরবান: বান্দরবানের লামা উপজেলার সরই ইউনিয়ন থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রেং ইয়ান পাড়ায় খাদ্য ও পানির তীব্র সংকট- এমন খবর পেয়ে লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সেখানে ত্রাণ সহায়তা দিতে ছুটে যান। প্রথমে এলাকাবাসীরা সেই ত্রাণ নিয়ে নিজ নিজ বাড়িতে যান।
লামার ইউএনও মো. মোস্তফা জাবেদ কায়সার বাংলানিউজকে বলেন, বান্দরবান জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সকালে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পাড়ায় ত্রাণ নিয়ে গেলে বাসিন্দারা প্রথমে ত্রাণ গ্রহণ করেন। কিন্তু, পরে সেখানে রাবার কোম্পানির কর্মীদের উপস্থিতির অভিযোগে সেই ত্রাণ আমাদের ফিরিয়ে দিয়েছে। আমরা ৩৬ পরিবারের জন্য চাল, মসুরের ডাল, মুড়ি, চিড়া, লবণ এবং পানি নিয়ে গিয়েছিলাম। প্রথমে তারা সাদরে গ্রহণ করলেও পরে তা আমাদের ফেরত দেওয়ায় আমরা তা নিয়ে চলে আসি।
এদিকে ত্রাণ বিতরণের সময় ঘটনাস্থলে লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের এক কর্মীকে পাড়াবাসী দেখতে পেয়ে তাকে ধাওয়া করে। পরে ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশের দুই সদস্য, সরই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ইউএনও পাড়াবাসীদের বুঝিয়ে শান্ত করেন।
রেং ইয়ান পাড়ার কারবারি রেংয়ান ম্রো বাংলানিউজকে বলেন, পাড়াবাসীর ত্রাণের খুব দরকার। কিন্তু আমরা ত্রাণ নিতে গিয়ে দেখি যারা আমাদের জুমের বাগান পুড়িয়ে দিয়েছেন, সেই লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজের কর্মীরা প্রশাসনের সদস্যদের সঙ্গে সেখানে দাঁড়িয়ে আছেন। আমরা তাদের টাকায় কোনো ত্রাণ নেব না।
তিনি আরও বলেন, কয়েকটি ত্রিপুরা পরিবার প্রথমে ত্রাণ নিলেও সেই ত্রাণ পরে তারা ফেরত দেয়।
সরই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইদ্রিছ বাংলানিউজকে জানান, আমরা ত্রাণ দেওয়ার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত পাড়ায় ছুটে গিয়েছিলাম। প্রথমে তারা লাইন ধরে সবাই ত্রাণ নিয়ে বাড়ি গিয়েছিল। পরে হঠাৎ করে সবাই ত্রাণ নেবে না বলেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রায় দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করেও তাদের ত্রাণ হাতে তুলে দিতে না পেরে লামা ফেরত যান।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, ৮ মে, ২০২২
এমএমজেড