ঢাকা, রবিবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ মে ২০২৪, ১০ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

ভুয়া করোনা সনদ আর সমস্যা সমাধানের চক্র!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৩ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০২২
ভুয়া করোনা সনদ আর সমস্যা সমাধানের চক্র!

ঢাকা: বিদেশগামী যাত্রীদের কোভিড-১৯ পরীক্ষার ভুয়া সার্টিফিকেট সরবরাহ ও সার্টিফিকেট সংক্রান্ত নানা সমস্যা সমাধানের কথা বলে ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন অঙ্কের অর্থ আদায় করত চক্রটি।

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রোববার (১৫ মে) রাজধানীর বনানী থানার মহাখালী কোভিড-১৯ হাসপাতালের সামনে অভিযান চালিয়ে এ চক্রের সাত সদস্যকে আটক করে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১)।

আটকরা হলেন- জসিম উদ্দিন (২৮), তারেকুল ইসলাম (২৬), আলমগীর হোসেন (২০), রিপন মিয়া (২৮), আরিফুল ইসলাম (২০), আহম্মেদ হোসেন শাহাদাৎ (১৮) ও শামীম হোসেন (৩০)।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ভুয়া কোভিড-১৯ টেস্টের পজিটিভ ও নেগেটিভ সার্টিফিকেটের ফটোকপি, দুটি বিকাশের মাধ্যমে টাকা আদান-প্রদানে ব্যবহৃত সিম কার্ড, তিনটি প্রবাসীদের মোবাইল নম্বর সম্বলিত টোকেন, একটি পেনড্রাইভ, প্রতারণায় নগদ ৪১ হাজার ৮৬৯ টাকা, একটি ডাচ বাংলা ব্যাংকের এটিএম কার্ড ও আটটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

র‍্যাব জানায়, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন বিদেশগামী সাধারণ যাত্রীদের কোভিড-১৯ নেগেটিভ সার্টিফিকেট একটি আবশ্যিক বিষয়। যাত্রীদের এ দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে চক্রটি বিদেশগামীদের জিম্মি করে টাকা হাতিয়ে নিয়ে আসছিল। তারা বিকাশের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিত।

র‍্যাব-১ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) নোমান আহমদ জানান, এ চক্রের সদস্যরা বিদেশগামী যাত্রীদের কাছে নিজেদের কোভিড-১৯ হাসপাতালের ডাক্তার, স্টাফ ও নার্স পরিচয় দিয়ে তাদের বিশ্বস্ততা অর্জন করত। পরে যাত্রীদের কোভিড-১৯ এর ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়ে বিভিন্ন অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিত।

তারা দীর্ঘদিন ধরে বনানীসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় বিদেশগামী যাত্রীদের কোভিড-১৯ সার্টিফিকেট সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০২২
পিএম/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।