ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ মে ২০২৪, ০৫ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৮ কোটি টাকার লিচু বিক্রির আশা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৭ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২২
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৮ কোটি টাকার লিচু বিক্রির আশা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কয়েকটি উপজেলার বাগানে বাগানে শোভা পাচ্ছে রসালো লিচু। জেলায় এবার পাটনাই, চায়না, বোম্বাই জাতের লিচুর ফলন ভালো হয়েছে।

কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে ৫০৩ হেক্টর জমিতে প্রায় ২৬৫০ মেট্রিকটন লিচু উৎপাদন হবে। যার বাজার মূল্য প্রায় ২৮ কোটি টাকা।

সীমান্তবর্তী বিজয়নগর, কসবা এবং আখাউড়া উপজেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ১৩ শতাধিক লিচু বাগান রয়েছে। দিন দিন এ সংখ্যা আরও বাড়ছে। শুধুমাত্র বিজয়নগর উপজেলাতেই চলতি মৌসুমে ৪০০ নতুন লিচু বাগান হয়েছে।

লিচু চাষীরা জানিয়েছেন, উৎপাদন খরচ কম, পাশাপাশি লাভবান হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে লিচু চাষে আগ্রহ বাড়ছে। এবার যথাসময়ে বৃষ্টি না হওয়ায় লিচুর আকার কিছুটা ছোট। তবে সার্বিক উৎপাদন ভালো। পাটনাই জাতের লিচু বাজারজাত শুরু হয়েছে। এখন বোম্বাই, চায়না ২ ও ৩ জাতের লিচু সংগ্রহের প্রস্তুতি চলছে।

বাগান মালিক ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি মো. রমজান মিয়া বাংলানিউজকে জানান, ১০ বছর আগে তার লিচু গাছ ছিল ৫-৭টি। আবাদ ভালো হওয়ায় বাড়ির পাশে খালি জায়গায় শতাধিক লিচুর চারা রোপন করেন। কয়েক বছর পরই ফলন আসতে শুরু করে। বর্তমানে তার পাঁচটি বাগান আছে। এবার মৌসুমে বিক্রি করে প্রায় আট থেকে দশ লাখ টাকা লাভ হবে।

স্থানীয়দের পাশাপাশি প্রবাস ফেরত যুবকরাও নিজ নিজ এলাকায় লিচু চাষ করছেন। প্রবাস ফেরত সুলতান আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, এলাকায় কর্মসংস্থানের কম সুযোগ থাকায় তিনি বিদেশে চলে যান। সেখানে সুবিধা না করতে পারায় দেশে ফিরে লিচুর চাষ শুরু করেন। এতে বেশ লাভবান হয়েছেন তিনি।

সোহাগ ভূইয়া নামে স্থানীয় এক লিচু চাষী জানান, তার বাগানে ৮০টি গাছ রয়েছে। পরিচর্যা ও শ্রমিক খরচ মিলিয়র ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ফলন ভালো, এবার তার দেড় লাখ টাকার মতো লাভ হবে।

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকাররা সরাসরি বাগান থেকে লিচু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। পাটনাই জাতের প্রতি হাজার লিচু বাগান থেকেই ১৮০০ থেকে দুই হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বোম্বে ও চায়না থ্রি জাতের লিচু ২৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকায় বিক্রির আশা করছেন চাষীরা।

বিজয় নগর উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. রুহল আমিন খান বলেন, লিচুর ফলন বাড়াতে চাষীদের অপ্রয়োজনীয় কীটনাশকের ব্যবহার নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। পাশপাশি অপরিপক্ক লিচু বাজারজাতকরণে বিরত থাকতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক সুশান্ত সাহা  বাংলানিউজকে বলেন, চলতি মৌসুমে জেলায় ২৮ কোটি টাকার লিচু উৎপাদিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কারিগরি সহায়তা ছাড়াও লিচু চাষ উৎসাহিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, ২০ মে, ২০২২
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।