ঢাকা, শনিবার, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৫ মে ২০২৪, ১৬ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

যেখানেই মাদকসেবী সেখানেই ব্যবস্থা: আমু

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৩ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২২
যেখানেই মাদকসেবী সেখানেই ব্যবস্থা: আমু

ঝালকাঠি: কোনো মাদকসেবী ছাত্রলীগ ও যুব লীগের পদ পাবেন না। অজ্ঞাতভাবে যদি কেউ পেয়ে থাকেন, প্রমাণিত হলে তার পদও বাদ দেওয়া হবে।

এছাড়া যেখানে মাদকসেবী দেখা যাবে; সেখান থেকেই ব্যবস্থা নিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু।

সোমবার (২৩ মে) দুপুর ১২টায় ঝালকাঠি সরকারি কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ১৪ দলের মুখপাত্র ও সমন্বয়ক আমু।

আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ এ নেতা বলেন, আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতি থাকাকালে মিয়ানমার ও ভারত সরকারকে মাদক নির্মূলে সমঝোতা চুক্তি বৈঠকে আহ্বান জানিয়েছিলাম। শুধুমাত্র ভারত বৈঠকে এসেছিল। তারা প্রায় ৪০০ ফেন্সিডিল কারখানা ধ্বংস করেছিল। কিন্তু মিয়ানমার আমাদের আহ্বানে সাড়া দেয়নি। তারাই ইয়াবা উৎপাদন করে আমাদের দেশের যুব সমাজকে ধ্বংস করতে মাদক সাপ্লাই দিচ্ছে।

কলেজ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আমু বলেন, পড়াশোনায় মনোনিবেশ করতে হবে। একইসঙ্গে খেলাধুলায় অংশ নিতে হবে। এতে জ্ঞানার্জনের পাশাপাশি রেজাল্ট ভালো ও শরীর সুস্থ হবে। সব মিলিয়ে দেশের ভবিষ্যৎ সম্পদ হিসেবে শিক্ষার্থীদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

শিক্ষক ও অভিভাবকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আ. লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, দেশকে ধ্বংস করতে বিদেশি শক্তিরা ষড়যন্ত্র করছে। শিক্ষক-অভিভাবক সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। পাশের বখাটে ছেলে মাদকসেবী কিন্তু, আমার ছেলে তো ভালো আছে!  একসময় ওই মাদকসেবীরা তাদেরও প্রভাবিত করবে। এজন্য মাদক নির্মুলে যে যেখানেই মাদকসেবী দেখবেন সেখানেই ব্যবস্থা নেবেন।

আমির হোসেন আমু আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে গত ৩১ বছর যারা ক্ষমতায় ছিলেন তারা নতুন প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরেননি। দেশ স্বাধীনের পরে বঙ্গবন্ধু পেয়েছিলেন পোড়া মাটির বাংলাদেশ। তিনি নতুন সংবিধান চালুসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচি শুরু করেছিলেন।

স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে চার বছরের মাথায় তাকে হত্যা করা হলো। তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেলের পাশাপাশি আইসিটি সেক্টরেও অনুকরণীয় দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

অনুষ্ঠানে কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. ইউনুস আলী সিদ্দিকী নিজ বক্তব্যে কিছু দাবি ‍তুলে ধরেন। এসব দাবি পূরণের আশ্বাস দেন ১৪ দলের এ মুখপাত্র ও সমন্বয়ক। ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত কলেজের নানা ইতিহাসও তুলে ধরেন তিনি।

অধ্যক্ষ প্রফেসর ইউনুস আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ইউনুস, জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী, জেলা পরিষদ প্রশাসক ও আওয়ামী লীগ সভাপতি সরদার মো. শাহআলম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্না রসুল।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, ২৩ মে, ২০২২
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।