ঢাকা, সোমবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

ধরা খাওয়ার ভয়ে রাস্তায় স্মার্টফোন রেখে গেলেন ছিনতাইকারী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪৫ ঘণ্টা, জুন ১, ২০২২
ধরা খাওয়ার ভয়ে রাস্তায় স্মার্টফোন রেখে গেলেন ছিনতাইকারী

ঢাকা: রিকশায় থাকা অবস্থায় বুক পকেট থেকে স্মার্টফোন নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ছিনতাইকারীর পিছু নেন মাহবুবুল ইসলাম (ছদ্মনাম) নামে এক ব্যক্তি। এ কারণে ধরা খাওয়ার ভয়ে ছিনিয়ে নেওয়া মোবাইলটি সড়কে রেখেই পালিয়ে যান ছিনতাইকারী।

মঙ্গলবার (৩১ মে) রাজধানীর ফকিরাপুল চৌরাস্তা পুলিশ হাসপাতালের পাশের সড়কে এরকম ঘটনা ঘটেছে।

একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন মাহবুবুল ইসলাম (ছদ্মনাম)। জানান, ঘটনাটি সন্ধ্যার সময়, বৃষ্টি হচ্ছিল, রিকশায় ছিলেন তিনি। বৃষ্টির কারণে রিকশার হুক নামানো ছিল। পাশাপাশি বৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে দুই হাত দিয়ে ধরা ছিল প্লাস্টিকের পর্দা। তখন তার ব্যবহৃত স্মার্টফোন ছিল শার্টের বুক পকেটে।

রিকশাটি জোনাকি সিনেমা হলের সামনের সড়ক দিয়ে ফকিরাপুল মোড় হয়ে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতাল সংলগ্ন রাস্তায় পৌঁছানোর পর, শাজাহানপুরের দিকে বাঁক নিতেই সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা এক যুবক হঠাৎ পর্দার ফাঁক দিয়ে হাত ঢুকিয়ে তার বুক পকেটে থাকা স্মার্টফোনটি নিয়ে দৌড়ে পালাতে থাকেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনিও রিকশা থেকে নেমে ছিনতাইকারীর পিছু নেন।   আর চিৎকার করে বলতে  ছিনতাইকারী, ছিনতাইকারী। কিন্তু তখন বৃষ্টি হওয়ায় রাস্তা চলাচল করা লোকজন যে যার অবস্থানে দাঁড়িয়ে ছিলেন।

এ সময় ছিনতাইকারী ফকিরাপুল মোড় থেকে নটরডেম কলেজের দিকে দৌড়ে পালাতে থাকেন। তার পেছনে দৌড়াতে থাকেন মাহবুবুল ইসলামও। একপর্যায়ে ছিনতাইকারী বুঝতে পারেন ধরা খেয়ে যেতে পারি। তখন হঠাৎ তিনি ছিনিয়ে নেওয়া মোবাইলটি আস্তে করে রাস্তার উপরে রেখে পালিয়ে যান।

মাহবুবুল ইসলাম জানান, কম করে হলেও ১০ মিনিট ছিনতাইকারীর পেছনে দৌড়াতে থাকি। একপর্যায়ে সে হয়তোবা বুঝতে পারে  ধরা খেয়ে যাবে। কারণ রং সাইড দিয়ে দৌড়ানোর সময় রাস্তার মাঝে আইল্যান্ডের সঙ্গে লম্বা করে গ্রিল দিয়ে বাউন্ডারি থাকায় ওপারে যাওয়ার কোনো ব্যবস্থা ছিল না। এই কারণে সে রাস্তার বিপরীত পাশের যেতে পারেনি। ফলে মহাবুবুল ইসলামের তাকিয়ে মোবাইলটা আস্তে করে রাস্তায় রেখে দ্রুত পালিয়ে যায় ছিনতাইকারী।

মহাবুবুল ইসলাম বলেন,  ধারণা করছি, ছিনতাইকারী বোঝাতে চেয়েছে, মোবাইলটা রেখে দিলাম সড়কে আমার পিছু আর নিয়েন না। পরেতিনি সড়ক থেকে মোবাইলটি উঠিয়ে নিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেন।

এক পর্যায়ে তিনি ওই সড়কে দাঁড়িয়ে পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দীন মিয়াকে বিষয়টি জানান।
তিনি মোবাইলে বিস্তারিত শুনে পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠান। তবে তিনিও স্বস্তি প্রকাশ করেন মোবাইলটি পাওয়ার কারণে।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৪ ঘণ্টা, ০১ জুন, ২০২২
এজেডএস/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।