ঢাকা, রবিবার, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আশুলিয়ায় ভুল অপারেশনের ১ মাস পর মৃত্যু নারীর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৪ ঘণ্টা, জুন ২, ২০২২
আশুলিয়ায় ভুল অপারেশনের ১ মাস পর মৃত্যু নারীর

সাভার (ঢাকা): সাভারের আশুলিয়ায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে জরায়ু টিউমার অপারেশন করতে গিয়ে চিকিৎসক ভুল করার ৩৫ দিন পর রোগীর মৃত্যু হয়েছে। দুঃসহ যন্ত্রণা ভোগ করে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়া ওই নারীর নাম রহিমা বেগম (৪৫)।

বুধবার (১ জুন) রাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রহিমার মৃত্যু হয়।

মৃত রহিমা আক্তার বাগেরহাটের রেজাউল সিকদারের স্ত্রী। তিনি পরিবারসহ জামগড়ার একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।

গত ২৭ এপ্রিল আশুলিয়ার জামগড়া ৬ তলা এলাকার দি ল্যাব এইড নামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার ভুল অপারেশন করেন ডা. ফৌজিয়া আক্তার।

রোগীর স্বজনরা জানান, গত ২৭ এপ্রিল আশুলিয়ার দি ল্যাব এইড হাসপাতালে ভুল অপারেশনে রহিমার মূত্রথলি কেটে অন্যত্র লাগিয়ে দেন ডা. ফৌজিয়া। পরে ভুল বুঝতে পেরে তড়িঘড়ি করে তাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যালে রেফার্ড করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। রোগীর অবস্থা বেগতিক দেখে সোহরাওয়ার্দীতে না রেখে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।  

পরে রহিমাকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢামেকে। দীর্ঘ ১৭দিন চিকিৎসা শেষে ১৮ দিনের মাথায় ফের আরেকটি অপারেশন করাতে হয় রহিমার। শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নত হলে নিয়ে আসা হয় আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার নিজ বাসায়। কিন্তু গত মঙ্গলবার (৩১ মে) আগের মত প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যায় তার। ওই দিন ফের নিয়ে যাওয়া হয় ঢামেক হাসপাতালে। তবে বুধবার রাত ৯টার দিকে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

মৃত রহিমার ছেলে সম্রাট বলেন, গত মাসের ২৭ এপ্রিল আমার মাকে ভুল অপারেশন করেন আশুলিয়ার দি ল্যাব এইড হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. ফৌজিয়া। এরপর ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসা করানোর পর বাড়িতে নিয়ে আসি, ফের প্রস্রাব বন্ধ হয়ে গেলে ফের মঙ্গলবার (৩১ মে) বেলা ১১টার দিকে আমার ছোট ভাই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। বুধবার রাত নয়টায় হাসপাতালে মা মারা গেছেন। এজন্য দি ল্যাব এইড হাসপাতালের বিরুদ্ধে মামলা করব।  

এ বিষয়ে দি ল্যাব এইড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমান বলেন, রোগীর স্বজনদের সঙ্গে কয়েক দিন আগে আমাদের আপোষ-মীমাংসা হয়েছে। একটু ভুল বোঝাবুঝি ছিল, তা ছাড়া কিছুই না।

সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. সায়েমুল হুদা বলেন, এ ধরনের কোনো অভিযোগ এখনো পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১০৫৮ ঘণ্টা, ০২ জুন, ২০২২
এসএফ/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।