ঢাকা, মঙ্গলবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২১ মে ২০২৪, ১২ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

বঙ্গবন্ধুর ৬ দফাই বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৬ ঘণ্টা, জুন ৭, ২০২২
বঙ্গবন্ধুর ৬ দফাই বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিল জাতীয় সংসদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

ঢাকা: জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের ৬ দফা দাবি ধাপে ধাপে সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিল বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন সংসদ সদস্যরা।

মঙ্গলবার (৭ জুন) ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে তারা এ অভিমত পোষণ করেন।

বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা স্বাধীনতা আন্দোলনের যুগান্তকারী পরিবর্তন ও স্বাধীনতার রিহার্সাল বলেও মন্তব্য করেন সংসদ সদস্যরা।

জাতীয় সংসদের অধিবেশন পরিচালনা করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। আলোচনায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরা।

এমপি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ৬ দফা বাংলাদেশের স্বাধীনতার অন্যতম ভিত্তি। এ দফাগুলোর মধ্যে নিহিত ছিল বাঙালির স্বাধিকার ও স্বাধীনতার কথা। ১৯৬৬ সালের ৭ জুন বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন। ঐতিহাসিক ৬ দফা স্বাধীনতার অন্যতম মাইলফলক ঘটনা। আজ তরুণ প্রজন্মকে দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে এই ইতিহাস জানাতে হবে।

সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ৬ দফা ছিল বঙ্গবন্ধুর একটি ঐতিহাসিক ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। ৬ দফা ঘোষণা করার পর বঙ্গবন্ধু আমাদের বলেছিলেন, সাকো দিলাম, ওপারেও যাবো। বঙ্গবন্ধু তখনই বিশ্বাস করতেন বাংলাদেশ স্বাধীন হবে। এ লক্ষ্যেই তিনি ৬ দফা দিয়েছিলেন। এ আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে।

আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই আন্দোলনের অগ্রভাগে ছিলেন। ৬ দফা আমাদের স্বাধীনতার অনুপ্রেরণা ছিল। সেই ৬ দফা থেকে ১১ দফা। ৬ দফার সিঁড়ি বেয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রামকে বঙ্গবন্ধু এগিয়ে নিয়েছিলেন ধাপে ধাপে। এর মাধ্যমে তিনি বাঙালি জাতিকে মুক্ত করে দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার রিহার্সাল।

শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, ৬ দফা দেওয়ার পর বঙ্গবন্ধু আন্দোলন করতে গিয়ে সেখানেই যান সেখানেই গ্রেফতার করা হয়। বঙ্গবন্ধুসহ ৩২ হাজার আওয়ামী লীগ ও ছাত্র নেতাদের গ্রেফতার করা হয়। ৬ দফার দাবিতে প্রথম ৭ জুন হরতাল পালন করা হলো, মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সেই হরতালে অংশ নিলো। বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয়, কোথায় নিয়ে যাওয়া হয় কেউই জানতো না। ৬ মাস বঙ্গবন্ধুর কোনো খোঁজ ছিল না। ১৯৬৯ সালে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার বিরুদ্ধে সারা দেশে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। আইয়ুব খান উপায় না দেখে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করে ২২ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধুকে ছেড়ে দিল।

আমির হোসেন আমু বলেন, ৬ দফাকে বিচ্ছিন্নতাবাদী দাবি বলা হয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, এটা বিচ্ছিন্নতাবাদী নয়; এটা বাঙালির স্বায়ত্তশাসনের দাবি। বঙ্গবন্ধু সারা দেশে গণ আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। তিনি শ্রমিক সংগঠনগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। শ্রমিকরা ৬ দফা আন্দোলনে এগিয়ে আসে। ৭ জুনের হরতাল ছিল বঙ্গবন্ধুসহ রাজবন্দীদের মুক্তি ও ৬ দফা দাবি মেনে নেওয়া। জুলুম নির্যাতনের মধ্য দিয়েই হরতাল সফল করা হয়।

দেশের মানুষ ৬ দফাকে ম্যাগনা কার্টা হিসেবে গ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আইয়ুব খান ৬ দফা যদি মেনেই নেয় তাহলে ছয় মাসের মধ্যে বাংলাদেশ স্বাধীন করার দায়িত্ব আমার। বাংলাদেশের মুক্তির সংগ্রামে ৭ জুন ছিল একটি ঐতিহাসিক দিন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, জুন ৭, ২০২২
এসকে/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।