ঢাকা: রাজধানীর জুরাইনে তিন পুলিশ সদস্যকে মারধরের ঘটনায় নাগরিক অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদের নেতা মিজানুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দিয়েছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) দুপুরে তাকে আটক করে শ্যামপুর থানা পুলিশ।
ডিবির এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানান, মিজানুরকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি। তার কাছে আমাদের কিছু তথ্য জানার ছিল, সেজন্য তাকে নিয়ে আসা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তিনি চলে গেছেন।
এর আগে ডিবি ওয়ারী বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন জানান, তাকে গ্রেফতার করা হয়নি। বিষয়টি যাচাই-বাছাই করতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
গত ৭ জুন জুরাইন রেলগেইট এলাকায় রাস্তার উল্টো দিক দিয়ে আসা মোটরসাইকেল আরোহীকে আটকে কাগজপত্র দেখতে চাওয়ায় ট্রাফিক সার্জেন্টকে মারধরের ঘটনা ঘটে। পরে তাকে উদ্ধারে আসা আরও দুই পুলিশ সদস্যকেও মারধর করা হয়।
আহত সার্জেন্ট আলী হোসেনের হাতে ২১টি সেলাই দিতে হয়েছে। আহত অন্য পুলিশ সদস্যরা হলেন, ট্রাফিক কনস্টেবল সিরাজুল ইসলাম, শ্যামপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) উৎপল চন্দ্র।
জানা যায়, জুরাইন রেলগেট এলাকায় উল্টোপথে একটি মোটরসাইকেল আসছিল। মোটরসাইকেলে এক নারীসহ দুজন আরোহী ছিলেন। কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্ট আলী হোসেন কাগজপত্র দেখতে চাইলে মোটরসাইকেল চালক অত্যন্ত দুর্ব্যবহার শুরু করেন। পুলিশের পোশাক ও ডিউটিতে থাকা ট্রাফিক সার্জেন্টের পরিচয়পত্র দেখতে চার্জ করেন।
পরে দুজনকে পুলিশ বক্সে নেওয়া হলে সঙ্গে থাকা নারী উত্তেজিত হয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন। তখন আশেপাশে থাকা সুযোগসন্ধানী লোকজন নারী লাঞ্ছনার অভিযোগ তুলে সার্জেন্টকে বেধড়ক মারধর করে, পুলিশ বক্স গুঁড়িয়ে দেয়। অভিযুক্ত মোটরসাইকেল চালক সার্জেন্টের বুকের উপর পা তুলে চেপে বসেন। এ সময় ঘটনাস্থলে উৎসুক জনতার মধ্য থেকে একজন সার্জেন্টের হাতে ছুরিকাঘাত করেন। এ ঘটনা নিয়ে মিজানুর সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০২২
পিএম/এমজেএফ
