বগুড়া: বগুড়ায় যমুনা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে জেলার সারিয়াকান্দি পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বড়েছে।
শুক্রবার (১৭ জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বগুড়া কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৗশলী মো. মাহবুবুর রহমান বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, গত কয়েকদিনের বৃষ্টির সঙ্গে উজান থেকে নেমে আসা ঢলে বগুড়ায় যমুনা নদীর পানি বেড়েই চলেছে। ফলে নদী তীরবর্তী বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ সংলগ্ন নিচু এলাকার বসতবাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং দূরবর্তী চরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের ফসলি জমি প্লাবিত হয়েছে। সারিয়াকান্দি উপজেলার চালুয়াবাড়ী, কর্নিবাড়ী, বোহাইল, কাজলা, চন্দনবাইশা, সারিয়াকান্দি সদর, হাটরশরপুর, কুতুবপুর, ও কামালপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলগুলো এবং এসব এলাকার রোপা, মাশকলাই, মরিচ, স্থানীয় জাতের গাঞ্জিয়া ধানসহ ফসলি জমিতে পানি প্রবেশ করেছে। অনেকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে। বগুড়ায় মূলত আগস্টের মাঝামাঝি সময় থেকেই যমুনার পানি বাড়তে শুরু হয়। তবে এ বছর শুক্রবার (১৭ জুন) সন্ধ্যায় তা বিপৎসীমা অতিক্রম করে।
পাউবো বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, যমুনা নদীতে বিপৎসীমা নির্ধারণ করা হয় ১৬ দশমিক ৭০ মিটার। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার হিসাব অনুযায়ী নদীর পানি ১৬.৭২ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অর্থাৎ বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে বাঙ্গালী নদীতে বিপৎসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫.৮৫ মিটার। এ নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে ১৫.৬৯ মিটার অর্থাৎ বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উজানে যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে তাতে যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। পানি বাড়লেও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ভাঙণের কোনো আশঙ্কা নেই।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০২২
কেইউএ/এসআরএস