যশোর: যশোরের চৌগাছা উপজেলার জগদীশপুর গ্রামের স্কুলছাত্রী মীম খাতুনকে কোমল পানীয়ের সঙ্গে কীটনাশক পান করিয়ে হত্যার অভিযোগে প্রেমিকসহ তিনজনের নামে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে।
রোববার (১৯ জুন) জগদীশপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী নিহত মীমের মা পারভীন বেগম এই মামলা করেছেন।
জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সালমান আহমেদ শুভ মামলাটি গ্রহণ করে থানায় এ ঘটনায় আর কোনো মামলা না হলে এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার জন্য চৌগাছা থানার ওসিকে আদেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলেন- জগদীশপুর গ্রামের আক্তার হোসেনের স্ত্রী নাজমা আক্তার ও তার দুই ছেলে টগর হোসেন (প্রেমিক) এবং সাগর হোসেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, জগদীশপুর মির্জাপুর ইসমাইল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণিতে পড়তো মিম। আসামি টগর হোসেন বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে মীমের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। বিষয়টি টগরের পরিবার জানতে পেরে মীমকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল। এ নিয়ে সালিশে টগরের পরিবার মীমের বাবাকে মারধর করে। মীম ক্ষোভে টগরের সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দেয়। এতে টগর অভিমান করে ঘুমের ওষুধ সেবন করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। গত ২৫ মে অপর দুই আসামি মীমদের বাড়িতে এসে স্কুলে যেতে নিষেধ করে গালিগালাজ ও খুন জখমের হুমকি দিয়ে যায়। ৮ জুন মীম স্কুলে পরীক্ষা দিতে গেলে আসামিরা স্কুলে গিয়ে গালিগালাজ করে। এরপরে সকাল ১০টার দিকে আসামিরা কৌশলে মীমকে ক্লাস রুমে থেকে ডেকে এনে কোমল পানীয়র সঙ্গে গন্ধবিহীন কীটনাশক পান করায়। গুরুতর অসুস্থ মীমকে প্রথমে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং অবস্থার অবনতি হলে পরে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে স্বজনেরা। মীমের অবস্থার আরো অবনতি হলে তাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ জুন দুপুরে মীম মারা যায়।
এ ব্যাপারে থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ গ্রহণ না করায় তিনি আদালতে এই মামলা করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫১ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২২
ইউজি/এএটি