ঢাকা, শনিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৮ মে ২০২৪, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

বৈষম্যমূলক আয়কর প্রত্যাহারসহ বিড়ি শিল্পকে সুরক্ষার দাবি 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৯ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২২
বৈষম্যমূলক আয়কর প্রত্যাহারসহ বিড়ি শিল্পকে সুরক্ষার দাবি  মানববন্ধন

পাবনা: বাজেটে নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম বৃদ্ধি এবং বিড়ির ওপর অর্পিত অগ্রিম ১০ শতাংশ আয়কর প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।  

বিড়ি শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের সুরক্ষা আইন প্রণয়ন এবং সরেজমিনে পরিদর্শন ব্যতিরেকে বিড়ি কারখানার লাইসেন্স দেওয়া বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন বিড়ি শ্রমিকরা।

 

সোমবার (২০ জুন) বেলা ১১টায় পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে পাবনা জেলা বিড়ি মজদুর ইউনিয়নের আয়োজনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এসব দাবি জানানো হয়। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

পাবনা জেলা বিড়ি মজদুর ইউনিয়নের সভাপতি হিরক হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাবনা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন।  

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গফুর, প্রচার সম্পাদক শামীম ইসলাম, কার্যকরী সদস্য আনোয়ার হোসেন, সদস্য লুৎফর রহমান, পাবনা জেলা বিড়ি মজদুর ইউনিয়নের সহ-সভাপতি আলম হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক দুলাল মোল্ল্যা, সাংগঠনিক সম্পাদক দুলাল শেখ, প্রচার সম্পাদক রাণী খতুন, কোষাধক্ষ্য টোকন রায়, শ্রম সম্পাদক চামেলি খাতুন প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, বিড়ির মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হলো নিম্নস্তরের সিগারেট। বর্তমানে নিম্নস্তরের সিগারেট বাজারের ৭৫ শতাংশ দখল করে আছে। এসব নিম্নস্তরের সিগারেটের সিংহভাগই বিদেশি কোম্পানির। প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে নিম্নস্তরের ১০ শলাকা সিগারেটে মূল্যস্তর ৩৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪০ টাকা করা হয়েছে যা খুবই সামান্য। তাছাড়া সিগারেটে কোনো সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়নি। ফলে বিড়ির বাজার দখলকারী সিগারেট কোম্পানিগুলো একচেটিয়া ব্যবসার সুযোগ পাচ্ছে। এ বছর বাজেটে যদি নিম্নস্তরের সিগারেটের মূল্য ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করা না হয় তবে দেশীয় বিড়ি শিল্পের অস্তিত্ব চিরতরে বিলীন হয়ে যাবে। নিম্নস্তরের সিগারেটের ভোক্তা বেশি থাকা সত্বেও শুল্কারোপ বৃদ্ধি না করলে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হবে।

বক্তারা আরও বলেন, বিড়ি শতভাগ দেশীয় প্রযুক্তি নির্ভর শিল্প। অন্যদিকে সিগারেটের সবকিছু বিদেশ থেকে আমদাদিকৃত ও প্রযুক্তি নির্ভর। বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানি এদেশের মানুষের ফুসফুস পুড়িয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করছে। সিগারেটে অগ্রীম আয়কর ৩ শতাংশ হলেও বিড়িতে অগ্রিম আয়কর ১০ শতাংশ। এই বৈষম্যমূলক অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার করতে হবে। একই সঙ্গে সরেজমিনে পরিদর্শন ব্যতিরেকে অস্তিত্বহীন বিড়ি কারখানার লাইসেন্স দেওয়া বন্ধ করতে হবে। দেশের বহু হতদরিদ্র, স্বামী পরিত্যক্তা, নদী ভাঙনকবলিত জনগণ ও শারীরিক বিকলাঙ্গসহ সুবিধাবঞ্চিত শ্রমিকদের অন্ন সংস্থানের একমাত্র মাধ্যম এই বিড়ি শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করে এই শিল্পকে রক্ষা করতে হবে। না হলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৬ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।