রাঙামাটি : আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গুলি বিনিময়ের ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে রাঙামাটিতে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) একজন নেতা নিহত ও অপর একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
জানা যায়, রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলা সদরের বাজার এলাকায় পার্বত্য চট্রগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এবং ইউনাইটেড পিপলস অব ডেমোক্রেটিকস ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) কর্মীদের মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে।
নিহত আনন্দ জ্যোতি বান্দরবান জেলার রোয়াংছড়ি উপজেলা পিসিপির সাধারণ সম্পাদক। আর আহত পলাশ চাকমা রাঙামাটি জেলা সদরের জীবতলীর বাসিন্দা।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি এ ঘটনার জন্য পার্বত্য চুক্তিবিরোধী সংগঠন ইউপিডিএফকে দায়ী করেছে।
পুলিশ ও প্রত্যদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ইউপিডিএফকে নির্মূল করতে কয়েক মাস ধরে জেএসএস এবং পিসিপি নেতাকর্মীরা রাজস্থলীতে অবস্থান নিয়ে আছে। তারা পুলিশ পাহারায় অবস্থান নেওয়ায় ইউপিডিএফ কোনোভাবেই সদরে ঢুকতে পারছিল না। আজ সকাল সোয়া ৭টার দিকে জেএসএসের অবস্থান সম্বন্ধে নিশ্চিত হয়ে তারা সদরের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান নেয়। এরপর একযোগে শতাধিক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে ত্রাস সৃষ্টি করতে থাকে। এ সময় জেএসএস কর্মীরাও পাল্টা গুলি চালায়।
ইউপিডিএফের অস্ত্রধারীরা এক পর্যায়ে পুলিশের ওপরও গুলিবর্ষণ করে। পুলিশ পাল্টা গুলি চালালে অবস্থা বেগতিক দেখে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাদের এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের নেতা আনন্দ জ্যোতি ঘটনাস্থলেই মারা যান।
অস্ত্রধারীদের গুলিতে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের একজন নিহত ও অপর একজন আহত হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন রাজস্থলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল হক।
উল্লেখ্য, গত ১৭ মে একই উপজেলায় পার্বত্য চুক্তিবিরোধী অস্ত্রধারীদের গুলিতে উসিনু মারমা নামের জেএসএস নেতা নিহত ও অপর একজন আহত হয়।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় : ১৫০০ ঘণ্টা, ৩ মে ১০
প্রতিনিধি/এজে/জেএম