ঢাকা, রবিবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ মে ২০২৪, ১০ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

শ্যামনগরে দু’পক্ষের সংঘর্ষ: নিহত ১, আহত ২৩ 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩৪ ঘণ্টা, জুলাই ৯, ২০২২
শ্যামনগরে দু’পক্ষের সংঘর্ষ: নিহত ১, আহত ২৩ 

সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার শ্যামনগরে সাবেক ও বর্তমান ইউপি সদস্যের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আমির আলী (২৮) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার (৮ জুলাই) বিকেলে উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের টেংরাখালী গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এ সময় উভয়পক্ষের অন্তত ২৩ জন আহত হন।

এর মধ্যে ১৭ জনকে শ্যামনগর হাসপাতাল ও সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহতদের মধ্যে আব্দুল কাদের ও আব্দুস সোবহান নামের দুজনের অবস্থা সংকটাপন্ন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকালে সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল বারীর সমর্থক নাদের আলীকে মারধর করে বর্তমান ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ লাল্টুর লোকজন। এ ঘটনার জেরে শুক্রবার বিকেলে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় আব্দুল বারীর কর্মী সমর্থকরা আব্দুল হামিদ লাল্টুর লোকজনকে গালিগালাজ করেন। এ সময় মুহূর্তের মধ্যে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। খবর পেয়ে আব্দুল হামিদ লাল্টুর ছেলে মোখলেছুর রহমান মিলন, মেহেদি হাসান ও ভাই আনিছুর রহমানসহ ৩০-৩৫ জন কর্মী সমর্থক নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে সংঘর্ষে যোগ দেন। এক পর্যায়ে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে সেখানে অবস্থানরত আব্দুল বারীর কয়েকজন সমর্থককে কুপিয়ে আহত করা হয়। খবর পেয়ে রায়নগর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

আহত ২৩জনের মধ্যে আব্দুল হানান (৪০), ইব্রাহিম গাজী (৩০), আক্তার হোসেন (৩১), ইসমাইল হোসেন (৩৪), ইমাম আলী (২৭), নাছির উদ্দীন (২৮), সোবহান (৩৮), আব্দুস সাদেক (৪১), আলাউদ্দীন (২৭), মেহেদী হাসান বাবু (২৩), আব্দুল আজিজ (৫০), সিরাজ হোসেন (৪০), হাফিজুর রহমান, (৪০), মুকুল (৩৮) ও ফারুক গাজীসহ (২৭) ১৭ জনকে শ্যামনগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  

এদিকে, সংঘর্ষের সময় আহতদের শ্যামনগর হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা আব্দুল বারীর ভাতিজা টেংরাখালী গ্রামের আবুল গাজীর ছেলে আমির হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন।  
এছাড়া অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় আব্দুস সাকাতের ছেলে আব্দুল কাদের (৩৬) ও আব্দুস সোবহানকে (৫০) সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

সংঘর্ষের বিষয়ে জানার জন্য আব্দুল হামিদ লাল্টুর ব্যক্তিগত মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ভাই পরিচয়ে এক ব্যক্তি দাবি করেন, মেম্বারকে মারতে বারী লোকজন নিয়ে এসেছিল। এখবরে গ্রামবাসী বাইরে বের হয়ে এসে বারীর লোকজনের নিয়ে আসা লাঠি দিয়েই তাদেরকে পিটিয়ে এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেয়।  

সাবেক ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল বারী জানান, লাল্টু মেম্বার ও তার ছেলেদের নেৃতত্বে তার লোকজনের ওপর হামলা করা হয়। সুন্দরবনের আত্মসমর্পণকারী কয়েকজন বনদস্যুকে নিয়ে লাল্টু তার লোকজনের ওপর হামলা করে- দাবি করে তিনি বলেন, আহতদের হাসপাতালে নেওয়ার পথেও তার লোকজনকে মারধর করা হয়েছে। এতে তার ১৬ জন কর্মী সমর্থক আহত হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।

এ বিষয়ে রায়নগর নৌ-পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ তারক বিশ্বাস জানান, সংঘর্ষের খবরে ঘটনাস্থল পৌঁছে আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী ওয়াহিদ মুর্শেদ জানান, এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ০৮৩১ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০২২
এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।