ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ জুন ২০২৪, ২০ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

ঈদের তৃতীয় দিনেও চিড়িয়াখানায় মানুষের ঢল

মাছুম কামাল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২২
ঈদের তৃতীয় দিনেও চিড়িয়াখানায় মানুষের ঢল

ঢাকা: ঈদুল আজহার তৃতীয় দিন মঙ্গলবার (১২ জুলাই)। এরই মধ্যে খুলেছে অফিস-আদালতও।

সড়কেও দেখা গেছে ভিড়। তবে, ঈদের ছুটির আমেজ ফুরোয়নি এখনো। ফলে, রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোর অন্যতম মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানায়ও এদিনও ছিল মানুষের ঢল।

মঙ্গলবার চিড়িয়াখানা ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন শ্রেণি, পেশা ও বয়সের মানুষের ঢল নেমেছে সেখানে। গমগম করছে পুরো এলাকা। পা ফেলার জায়গাও নেই। চারিদিক লোকে-লোকারণ্য। ভিড় ছিল সেখানকার ফুটপাত দখল করে বসা অস্থায়ী খাবারের দোকানগুলোতেও।

কথা বাড্ডা থেকে পরিবার নিয়ে চিড়িয়াখানায় বেড়াতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী  সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে। বাংলানিউজকে তিনি বলন, গ্রামের বাড়ি মাগুরায়। ঈদে বাড়ি যাওয়ার মতো ছুটি পাইনি। বাচ্চারা আবদার করেছে, তাই স্ত্রীসহ ওদেরকে চিড়িয়াখানায় নিয়ে এসেছি। এখানে প্রচুর ভিড়। তাই কিছু শুকনো খাবার আর পানি কিনে ঢুকলাম। দোকানগুলোতে সব কিছুর দাম বাড়তি নিচ্ছে।

সদ্য বিবাহিত ইফতেখার আলম সরকারি চাকরি করেন। স্ত্রীকে নিয়ে কমলাপুর থেকে তিনি এসেছেন চিড়িয়াখানায়। বাংলানিউজকে বলেন, বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে এই প্রথম ঘুরতে এসেছি। খুব ভাল লাগছে। তবে এখানে খাবারের দাম অনেক বেশি। এগুলো যদি একটু মনিটরিং হত, তবে স্বস্তি পেতাম।

সবচেয়ে বেশি ভিড় দেখা গেছে বাঘের খাঁচার সামনে। নয়ন ইসলাম নামে এক দর্শনার্থী বাংলানিউজকে বলেন, আমার মেয়ে বইয়ে বাঘ দেখেছে, পড়েছে। ফলে ওর উৎসাহ বেশি। তাই বাঘ দেখাতে মেয়েকে এখানে নিয়ে এসেছি।

এদিকে চিড়িয়াখানার আশপাশের স্থায়ী ও অস্থায়ী দোকানগুলো ঘুরে দেখা গেছে, সেখানে ২০ টাকার এক বোতল পানি ৩০ টাকা, ১০ টাকার চিপস ২০ টাকা এবং ১৫ টাকার বিস্কুট ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, প্রায় সব খাবারই দ্বিগুণ কিংবা তিন গুণ দামে বিক্রি হচ্ছে সেখানে।

জানতে চাইলে, উত্তেজিত দোকানদার বলেন, সারা বছর তো আর এত মানুষ থাকে না। ঈদ তাই একটু ব্যবসা করার সময়। ভোক্তা অধিকার আইন সম্পর্কে জানেন কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আপনাদের আইন, আপনারা জানেন গিয়ে। আমার দরকার নেই। ব্যবসার টাইমে ব্যবসা করব না তো কী করব?

এদিকে, চিড়িয়াখানায় টিকিটের মূল্য বাড়ানোয় অসন্তোষ জানিয়েছেন আগতরা। বর্তমানে টিকিটের মূল্য ৫০ টাকা। এ নিয়ে এক দর্শনার্থী বলেন, ঢাকায় তো তেমন ঘোরার জায়গা নেই। ফলে এখানে আসি। কিন্তু, এই সুযোগে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ দাম বাড়িয়ে দিল টিকিটের। এটা গ্রহণযোগ্য না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানার কিউরেটর মুজিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, চিড়িয়াখানার পুরো সীমানাজুড়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। ভাঙা খাঁচা ও শেড নতুন করে সংস্কার ও স্থাপন করা হচ্ছে। বাড়তি গাড়ি পার্কিং সুবিধা তৈরি করা হয়েছে। আগত দর্শনার্থীদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। ফলে, আনুষঙ্গিক ব্যয় সমন্বয় করার জন্য টিকিটের মূল্য ‘সামান্য’ বাড়ানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘণ্টা, ১২ জুলাই, ২০২২
এমকে/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।