ঢাকা, শনিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৮ মে ২০২৪, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

সব ইউনিয়নে গ্রাম আদালত সক্রিয় করতে ২৮ মিলিয়ন ডলার দেবে ইইউ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫০ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২২
সব ইউনিয়নে গ্রাম আদালত সক্রিয় করতে ২৮ মিলিয়ন ডলার দেবে ইইউ

ঢাকা: দেশে প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালত সক্রিয় করতে ২৮ দশমিক ৩৭ মিলিয়ন ডলার দেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।  

বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ইইউ-এর রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াটলি।

সাক্ষাৎ শেষে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, এক্টিভেটিং ভিলেজ কোর্ট (গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ), এটাতে ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ ইউরোপের আরও কয়েকটি দেশ অর্থায়ন করে। এটা কয়েকটা জেলাতে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে চলছিল। আমি তাদের অনুরোধ করেছিলাম যে, সারা বাংলাদেশে আমরা একসঙ্গে ভিলেজ কোর্ট চালু করতে চাচ্ছি। এটা চালু করার জন্য আর্থিক সাহায্যের বিষয়ে ইইউ রাজি হয়েছে। তারা ২৮ দশমিক ৩৭ মিলিয়ন ডলার দেবে। আর ২৫ মিলিয়ন ডলার বাংলাদেশ সরকার দেবে।  

এই গ্রাম আদালত বা ভিলেজ কোর্ট হলে কি হবে- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে একটি কোর্ট থাকবে। গ্রামের যে সমস্ত ছোটখাটো সমস্যা হয়; সেগুলো মামলা-মোকদ্দমা করতে গেলে উভয়পক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, অনেক সময় ব্যয় হয়। কোর্টের উপর চাপ পড়ে। সেটার জন্য এটা যাতে (ভিলেজ কোর্ট) করে এ পর্যায়ে নিষ্পত্তি করা যায়। আমরা একসঙ্গে মিলে এই ভিলেজ কোর্ট টা চালু করব।


তাজুল ইসলাম বলেন, লোকাল গভর্নমেন্ট ইনেশিয়েটিভ অন ক্লাইমেট চেঞ্জ প্রজেক্টের জন্য তাদের অর্থায়ন ছিলো। এখন এটাও শেষের পথে। এটি মূলত উপকূলীয় এলাকায় সাইক্লোনসহ যেসব দুর্যোগে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তারা যাতে স্থানান্তর না হয়, অলটারনেটিভ জীবিকা নির্বাহের ব্যবস্থা করা যায়- এ ধরনের কাজের জন্য দ্বিতীয় ধাপে অর্থায়ন করতে সুইডিস রাষ্ট্রদূত, ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূতসহ কয়েকজন আমার সঙ্গে বসার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।  

তিনি বলেন, উপকূলীয় এলাকায় শুকনো সময় আমাদের পানি স্বল্পতা থাকে, পান করার পানির খুব অসুবিধা হয়। সেকারণে এখানে ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগ দেখা দেয়। এগুলোর জন্য আমি নিজে উদ্যোগ নিয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে টেকনোলজি সংগ্রহ করেছি। স্যালাইন ওয়াটারকে স্যোলার বিদ্যুতের মাধ্যমে ময়েশ্চার তৈরী করা হবে। সেটিকে পানি বানাবে। স্কুলগুলোতে যেনো পানি দেওয়া যায় সেজন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি। এটার ভালো ফলাফল আমাদের কাছে আছে।

মন্ত্রী বলেন, আমরা তাদের বলেছি আমরা একটি প্রজেক্ট করতে চাচ্ছি যেখানে ৫শ কিংবা ১ হাজার কোটি টাকা আপাতত লাগবে। তারা সে বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে, তারা নিজেদের মধ্যে আলাপ করে যদি আর্থায়ন করে আমাদের সঙ্গে আসে তাহলে আমরা কাজটি করব। টেকনলজিটা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে পারলে উপকূলীয় এলাকার স্কুলগুলোতে শিশুরা বিশুদ্ধ খাওয়ার পানি পাবে।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এ নিয়ে আলোচনা করা তো তার কথা না। আমাদের দেশের নির্বাচন নিয়ে বাইরের কেউ কথা বলুক, এটা আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে অপছন্দের বলে মনে করি। এটা আমার দেশের মর্যাদার ব্যাপার।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২২
জিসিজি/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।