ঢাকা, শুক্রবার, ২২ ভাদ্র ১৪৩১, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

হত্যা মামলার আসামিকে খুন, বসতঘরে আগুন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫০ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২২
হত্যা মামলার আসামিকে খুন, বসতঘরে আগুন

সিলেট: সিলেটের সীমান্তবর্তী গোয়াইনঘাট উপজেলায় হত্যাকাণ্ডের বিরোধকে কেন্দ্র করে আব্দুল কাদির নামে এক ব্যক্তিকে খুন করেছে প্রতিপক্ষ। হত্যার পর আব্দুল কাদিরের বসতঘরেও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।

 

আব্দুল কাদির গোয়াইনঘাট উপজেলা সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ লাবু গ্রামের আব্দুল খালিকের ছেলে। তিনি চার বছর আগের একটি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।  

শুক্রবার (১৫ জুলাই) দিনগত রাতে পূর্বের হত্যাকাণ্ডের জের ধরে স্থানীয় দক্ষিণ লাবু এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভোরে অভিযান চালিয়ে ১১ জনকে আটক করা হয়েছে।

সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি অ্যান্ড মিডিয়া) মো. লুৎফর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, গত চার বছর আগে ওই গ্রামে একটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে ছিল। কাদির ছিলেন ওই হত্যার মাস্টারমাইন্ড। তাকে হত্যার পর তার বসতঘরে আগুন দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার পর রাতে অন্তত ৩০ জন পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় ‍উভয় পক্ষের লোকজন আহত হয়েছেন। তবে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ১১ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল ইসলাম বলেন, কাদির ছিলেন আগের একটি হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা। ওই হত্যার ঘটনায় জড়িতদের মামলার খরচ বহন করতেন কাদির। কিছুদিন ধরে তিনি মামলার খরচ না দেওয়ায় তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এরমধ্যে লাবু গ্রামের হাজি কামালের পক্ষের লোকজন শুক্রবার রাতে কাদিরের বাড়িতে হামলা চালিয়ে কুপিয়ে তাকে হত্যা করেন। এতে ‍উভয় পক্ষের লোকজন আহত হয়েছেন।

তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ড ও অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত কাদিরের মরদেহ উদ্ধার করে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠায়। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

স্থানীয়রা জানায়, প্রায় চার বছর আগে দক্ষিণ লাবু গ্রামের এক লোককে হত্যা করা নিয়ে নিহত কাদির ও তার বাবা আবদুল খালিকের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল প্রতিপক্ষের লোকজনের। এ নিয়ে উভয় পক্ষে মামলা হয়। এ হত্যাকাণ্ডের এক পক্ষের মামলার খরচ পরিচালনা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে হাজি কামালের লোকজনের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল কাদিরের। এরই জের ধরে শুক্রবার কাদিরের বাড়িতে প্রতিপক্ষ সাবেক ইউপি সদস্য শামসুদ্দিন ও হাজি কামালের লোকজন হামলা চালিয়ে কাদিরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এ হত্যাকাণ্ডের পর হামলাকারীরা কাদিরের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে।

এদিকে শনিবার (১৬ জুলাই) সকাল থেকে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থলে রয়েছেন। এ হত্যার ঘটনায় হাজি কামালসহ সাতজনকে থানায় আটক রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলেও জানা গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২২
এনইউ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।