ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৬ মে ২০২৪, ০৭ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

প্রাণিসম্পদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে সব ধরনের সহায়তা দেব: মন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩০ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০২২
প্রাণিসম্পদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে সব ধরনের সহায়তা দেব: মন্ত্রী

ঢাকা: প্রাণিসম্পদের মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে রাষ্ট্র সব ধরনের সহায়তা দেবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।  

তিনি বলেন, আমাদের মানসম্মত প্রাণিসম্পদের উৎপাদনে জোর দিতে হবে।

রোগাক্রান্ত পশুর মাংস বা দুধ থেকে মানুষের শরীরে রোগের জীবাণু প্রবাহিত হতে পারে। সেজন্য গুণগত মানের প্রাণী উৎপাদন ও প্রাণীর চিকিৎসায় দায়িত্ববোধ নিশ্চিত করতে হবে। ওয়ান হেলথের বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে।  

সোমবার (১৮ জুলাই) রাজধানীর কাজী আলাউদ্দিন রোডে বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠান এবং 'বাংলাদেশে ভেটেরিনারি সেবা জোরদারকরণে বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলের ভবিষ্যত অগ্রাধিকার' বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলের 'আনুষঙ্গিক সুবিধাসহ বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল ভবন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় এ অনুষ্ঠান ও সেমিনার আয়োজন করা হয়। এর আগে মন্ত্রী বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী রেজাউল করিম বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের প্রাণিসম্পদে যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে, এ ধারা উত্তরোত্তর সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের টেকসই ও গুণগত উন্নয়ন চান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলের নতুন ভবন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতা, প্রচেষ্টা ও সদিচ্ছার বহিঃপ্রকাশ। এ ভবনের উদ্বোধন মুহুর্ত দেশের সব ভেটেরিয়ানদের জন্য অনিন্দ্য সুন্দর মুহুর্ত। এটি তাদের নিজস্ব একটি পরিচয়ের জায়গা। ভেটেরিনারি কাউন্সিল ভবন উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ভেটেরিনারি পেশাজীবীদের দায়িত্ব অর্পণ হলো। সেজন্য একটি শক্তিশালী কাউন্সিল কর্তৃপক্ষ থাকতে হবে। এ প্রতিষ্ঠানকে প্রকৃতপক্ষে কার্যক্ষম করে তুলতে হবে। এর কাজের প্রক্রিয়া নির্ধারণ করতে হবে। সরকারের বিধিসঙ্গতভাবে এ প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হতে হবে। নিয়মকানুনের অধীনে ভেটেরিনিয়ানদের রেজিস্ট্রেশন দিতে হবে। ভেটেরিনারি পেশার মানোন্নয়নে কাজ করতে হবে। এ পেশার অপব্যবহার প্রতিরোধ করতে হবে।
 
তিনি আরও বলেন, ভেটেরিনারি শিক্ষার মান ও যোগ্যতা অনুযায়ী পেশাগত দায়-দায়িত্বের সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। দেশে প্রাণিসম্পদের বিপ্লব ধরে রাখতে হলে এ খাতে কর্মের পরিধি বাড়াতে হবে, জনবল বাড়াতে হবে এবং ভেটেরিনারি পেশাজীবীদের দক্ষতা বাড়াতে হবে। ভেটেরিনারি পেশার মর্যাদা বাড়াতে ভেটেরিনারিয়ানদের দায়িত্ব নিতে হবে। এক্ষেত্রে ভেটেরিনারি কাউন্সিল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ভেটেরিনারি কাউন্সিলের সমস্যা সমাধানে সবধরনের পদক্ষেপ নেওয়ারও এ সময় আশ্বাস দেন মন্ত্রী।

বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলের সভাপতি ডা. মো. মনজুর কাদিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ডা. গোপাল চন্দ্র বিশ্বাস। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এছাড়া সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক চৌধুরী।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০২২
জিসিজি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।