ঢাকা, রবিবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ মে ২০২৪, ১০ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

বাংলাদেশ দানাদার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, লক্ষ্য পুষ্টিজাতীয় খাদ্য

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩২ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২২
বাংলাদেশ দানাদার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, লক্ষ্য পুষ্টিজাতীয় খাদ্য

রাজশাহী: কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের যেন সৃজনশীলতা ও মেধা বিকশিত হয়, তারা যেন সুস্থ থাকতে পারে এবং দেশ গড়ায় অবদান রাখতে পারে, সেজন্য আমাদের শাকসবজি, ফলমূল, মাছ, ডিম, দুধ ও মাংস ইত্যাদি খাদ্য উৎপাদন বাড়ানো প্রয়োজন। দানাদার খাদ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ, এখন লক্ষ্য পুষ্টি জাতীয় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন।

বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) বিকেলে রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট আয়োজিত ‘বিদ্যমান শস্য বিন্যাসে তৈল ফসলের অন্তর্ভুক্তি এবং ধান ফসলের অধিক ফলনশীল জাতসমূহের উৎপাদন বৃদ্ধি’ শীর্ষক এক কর্মশালায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ফল, সবজি এবং ফসলের অনেক নতুন জাত আমাদের বিজ্ঞানীরা উদ্ভাবন করেছেন। পুষ্টি ও ভিটামিন সমৃদ্ধ এবং সুস্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সমৃদ্ধ অনেক ফসলই বরেন্দ্র এলাকায় উৎপাদন করা হচ্ছে। ভিটামিনে ভরপুর শীতকালীন সবজি টমেটো এখন গ্রীষ্মকালেও উৎপাদন করা হচ্ছে। উত্তরাঞ্চলে শীত দীর্ঘ হাওয়ায় আলু, ধান ও গম ভালো হয়। দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে, এটা আমাদের সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার নির্বাচনী ইশতেহারের মাধ্যমে জাতিকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, আমরা খাদ্যশস্যে বাংলাদেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করব। সাড়ে ১৬ কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমিয়ে আনবো।

খাদ্য নিরাপত্তাকে এমডিজি ও এসডিজির অন্যতম লক্ষ্য উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, কোনো মানুষ কতটুকু খাবার খেতে পারে তা দিয়ে তার দারিদ্র্য নির্ধারণ করা যায়। ২১০০ ক্যালরির নিচে খাবার খেলে দারিদ্র্য সীমার নিচে এবং ১৮০০ ক্যালরির নিচে অতিদরিদ্র, এখন বাংলাদেশের ১০ ভাগ মানুষ অতি দরিদ্র্য এবং দারিদ্র্য সীমার নিচে রয়েছে ২০ ভাগ মানুষ। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার সময় এটি ছিল ৪০ ভাগ। এখন আমাদের লক্ষ্য এই সম্ভাবনাময় উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে কীভাবে ধানের উৎপাদন বাড়াতে পারি এবং অতিরিক্ত কোন ফসল উৎপাদন করা যেতে পারে তা নির্ধারণ করা।

আমাদের বিজ্ঞানীরা ফসলের নতুন জাত উদ্ভাবন করছেন এবং তাদের উদ্ভাবিত ফসলের উৎপাদন শতকরা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বেশি উল্লেখ করে মন্ত্রী পুরাতন ও কম উৎপাদনশীল জাতের ফসলের পরিবর্তে নতুন ও অধিক উৎপাদনশীল জাত ব্যবহারের পরামর্শ দেন।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএআরসি’র নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজির আলম, বিএআরআই এর মহাপরিচালক ড. দেবাশিষ সরকার, বিএডিসি (বীজ) এর সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান, রাজশাহীর  জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল ও রাজশাহী মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আলী কামাল।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২২
এসএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।