ঢাকা: রাজধানীতে বিকাশ পরিবহনের একটি বাসে এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় চালকের সহকারী কাওসার আহম্মেদকে (৩০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) বিকেলে সাভারের আশুলিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মো. কুদরত-ই-খুদা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার (২৭ জুলাই) একই এলাকা থেকে বিকাশ পরিবহনের ওই বাসের চালক মাহবুবুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। জব্দ করা হয় বিকাশ পরিবহনের বাসটিও (ঢাকা-মেট্রো-ব-১২-০৬০৫)। চালক মাহবুবুরকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হলে বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) আদালত তার এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
পুলিশ জানায়, গত ২৪ জুলাই ভুক্তভোগী রাত পৌণে ৯ টার দিকে ধানমন্ডি থেকে আজিমপুরের তার বাসায় যাওয়ার উদ্দেশে বিকাশ পরিবহনের একটি বাসে ওঠেন। বাসে উঠে কানে হেডফোন দিয়ে গান শুনতে শুনতে এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী তন্দ্রাছন্ন হয়ে পড়েন। রাত আনুমানিক ৯ টা ১০ মিনিটে তিনি অনুভব করেন তার শরীরে কে যেন হাত দিয়েছে। তাৎক্ষণিক তিনি তাকিয়ে দেখেন বাসে কোনো যাত্রী নেই এবং তার পাশের সিটে বাসের হেলপার বসা।
তখন তিনি বিপদ আঁচ করতে পেরে বাসের হেলপারকে তার পাশ থেকে ধাক্কা দিয়ে সরানোর চেষ্টা করেন। ভুক্তভোগী সিট থেকে দাঁড়িয়ে নামার চেষ্টা করলে হেলপার তাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে ও এক হাতে মুখ চেপে ধরে। তখন ভুক্তভোগী নিজেকে বাঁচানোর জন্য সর্বশক্তি প্রয়োগ করে হেলপারের কাছ থেকে ছুটে চালককে চিৎকার করে বাস থামাতে বলেন। চালক তখন বাস না থামিয়ে দ্রুত গতিতে ইডেন কলেজের সামনে দিয়ে আজিমপুরের দিকে যেতে থাকেন। এক পর্যায়ে আজিমপুর গার্লস স্কুলের কাছে বাসটি একটু স্লো হলে ভুক্তভোগী লাফ দিয়ে বাস থেকে নেমে আত্মরক্ষা করেন।
পরে ভুক্তভোগী ঘটনাটি ফেসবুকে শেয়ার করে একটি পোস্ট দেন। এরপর লালবাগ থানা পুলিশ প্রাথমিক অনুসন্ধান পূর্বক ভুক্তভোগীকে চিহ্নিত করে তথ্য সংগ্ৰহ করেন। তাৎক্ষণিক সিসি ফুটেজ পর্যালোচনা এবং আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে বিকাশ পরিবহনের বাসটি শনাক্ত করা হয়। এরপর এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বিকাশ পরিবহন বাসের ড্রাইভার মো. মাহবুবুর রহমানের অবস্থান শনাক্ত করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় লালবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০২২
পিএম/জেডএ
