ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ জুন ২০২৪, ২০ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

সামান্য বৃষ্টিতেই ডুবে যায় মাদারীপুর শহরের বিভিন্ন এলাকা

ইমতিয়াজ আহমেদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২২
সামান্য বৃষ্টিতেই ডুবে যায় মাদারীপুর শহরের বিভিন্ন এলাকা

মাদারীপুর: অল্প সময় বৃষ্টি হলেই পানিতে ডুবে থাকছে মাদারীপুর শহরের বিভিন্ন এলাকা। মাত্র এক ঘণ্টা ধরে বৃষ্টি হলেই হাঁটুপানি জমে যায় শহরের বিভিন্ন স্থানে।

এই জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগ বেড়েছে শহরবাসীর।  

উন্নত ড্রেনেজ ব্যবস্থার অভাবে এই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি বলে জানায় স্থানীয়রা। জমে থাকা বৃষ্টির পানি সরে যেতে বৃষ্টি থামার পর অপেক্ষা করতে হচ্ছে কমপক্ষে একদিন। বর্ষা মৌসুম তাই দুর্ভোগ নিয়ে আসে শহরবাসীর জন্য!

সরেজমিনে দেখা গেছে, একটু বৃষ্টি নামলেই পৌরসভার হামিদ আকন্দ সড়কের প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা ডুবে থাকে পানিতে।
পানি নামতে না পারায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় পৌরবাসীকে। একই অবস্থা শহরের ডা. অখিল বন্ধু সড়ক, শহীদ মানিক সড়ক, মন্টু ভুঁইয়া সড়ক, শহীদ বাচ্চু সড়কসহ অধিকাংশ সড়কের। বৃষ্টি হলেই সড়কগুলোতে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। কয়েক বছর ধরে এই অবস্থা চললেও সমাধানের তেমন কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়েনি। ফলে সমস্যা নিয়েই বসবাস করছেন পৌরবাসী। আর দুর্ভোগের শেষ নেই যাত্রী, চালক ও পথচারীদের।

মাদারীপুর পৌরসভা সূত্র জানায়, ১৮৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত সাড়ে ১৪ বর্গ কিলোমিটারের মাদারীপুর পৌরসভা ১৯৯১ সালে প্রথম শ্রেণির পৌরসভার মর্যাদা পায়। ভূমি কর, ট্রেড লাইসেন্স, জন্ম-মৃত্যু সনদসহ বিভিন্ন খাতে প্রতিবছরই একশো কোটি টাকা আয় করছে পৌর কর্তৃপক্ষ। পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ৩৪টি মৌজায় দুই লাখ মানুষের বসবাস। গত ৫ বছরে বিভিন্ন প্রকল্পে ৭০ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ।

পৌরসভার একাধিক বাসিন্দা জানান, অল্প কিছু সময় বৃষ্টি হলেই পৌরসভার বিভিন্ন অলিগলি পানিতে তলিয়ে যায়। এতে চলাচলে ভোগান্তি বাড়ে। এমনকি বাড়িঘরেও পানি উঠে যায়। চরম দুর্ভোগ নিয়ে চলতে হচ্ছে বসবাসকারীদের।

মাদারীপুর সচেতন নাগরিক কমিটির সদস্য খান মো. শহীদ বলেন, পৌরবাসী পৌর কর দিয়ে নাগরিক সুবিধা পাবে এটাই নিয়ম। কিন্তু সামান্য বৃষ্টিতে পৌরসভায় জলাবদ্ধতা এটা কাম্য নয়। সবার একটাই প্রত্যাশা শিগগিরই আধুনিক ড্রেন নির্মাণ করে স্থায়ীভাবে এই জলাবদ্ধতা থেকে পৌরবাসী মুক্তি পাবে।

মাদারীপুর পৌরসভার মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ জানান, দীর্ঘদিনের এই সমস্যা থেকে বাঁচতে হাতে নেওয়া হয়েছে বৃহৎ প্রকল্প। আধুনিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা নির্মাণ শেষ হলে আর কোনো সমস্যা থাকবে না। এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে সময় লাগবে অন্তত আরও দুই বছর।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫২ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।