ঢাকা, রবিবার, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ মে ২০২৪, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রাশিয়ার সহযোগিতায় মিশরে এনপিপি নির্মাণে যুক্ত হলো কোরিয়া

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২২
রাশিয়ার সহযোগিতায় মিশরে এনপিপি নির্মাণে যুক্ত হলো কোরিয়া

ঢাকা: রুশ সহায়তায় মিশরের এল-দাবা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে টার্বাইন আইল্যান্ড নির্মাণ করবে কোরিয়া হাইড্রো অ্যান্ড নিউক্লিয়ার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (কেএইচএনপি)।

চুক্তি অনুযায়ী মিশরে প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চারটি ইউনিটের টার্বাইন আইল্যান্ডে প্রায় ৮০টি অট্টালিকা ও কাঠামো নির্মাণে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও সামগ্রী সরবরাহ করবে কোরিয়ার এ প্রতিষ্ঠান।

রোসাটম থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এল-দাবা এনপিপির জেনারেল কন্ট্রাকটরের দায়িত্ব পালন করছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি কর্পোরেশনের (রোসাটম) প্রকৌশল শাখা এটমস্ত্রয় এক্সপোর্ট।

কেএইচএনপির প্রধান নির্বাহী জোহো ওয়াং বলেন, এটমস্ত্রয় এক্সপোর্টের সঙ্গে আমাদের এই চুক্তিটি কোরিয়ার জন্য একটি বড় অর্জন। এটি প্রকল্প নির্মাণের কাজে আমাদের প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতার পরিচায়ক, যা অবশ্য আমরা ইতোপূর্বে সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রদর্শন করতে সক্ষম হয়েছি। সংযুক্ত আরব আমিরাতে অর্জিত অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এল-দাবা এনপিপির সফল বাস্তবায়নে আমরা সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাবো।

রোসাটমের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিষয়ক পরিচালক বরিস আরসিএফ জানান, শুধুমাত্র ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ এবং কার্বন নিরপেক্ষতা অর্জনেই পারমাণবিক শক্তির ভূমিকা তাৎপর্যপূর্ণ নয় বরং বিভিন্ন দেশকে কাছাকাছি আনতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আমরা রোসাটম দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি বর্তমান এই জটিল বাস্তবতায় পরমাণু শক্তি ক্ষেত্রে সহযোগিতা কোনোভাবেই বন্ধ হওয়া উচিত না। বরং পারষ্পরিক স্বার্থেই এই ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও বাড়ানো উচিত।

এটমস্ট্র এক্সপোর্টের সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট এনপিপি নির্মাণ প্রকল্প ব্যবস্থাপনা আলেক্সান্ডার কর্চাগিন এল-দাবা প্রকল্পটিকে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এই প্রকল্পে এখন অভিজ্ঞতাসম্পন্ন মিশরের বড় বড় কোম্পানির সঙ্গে কেএইচএনপিও যুক্ত হলো। রুশ মিশরীয় ও কোরিয় টিমের যৌথ এবং সুসমন্বিত কাজের মাধ্যমে এই উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রকল্পটি আমরা সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে পারবো বলে বিশ্বাস করি।

মিশরের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র হচ্ছে এল-দাবা এনপিপি। রুশ সহযোগিতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পে চারটি ইউনিট থাকবে, প্রতিটির উৎপাদন ক্ষমতা ১ হাজার ২০০ মেগা-ওয়াট। এল-দাবা প্রকল্পে বসানো হবে ৩+ প্রজন্মের রুশ ভিভিইআর-১২০০ রিয়্যাক্টর। রাশিয়া শুধুমাত্র এই প্রকল্পটি নির্মাণের দায়ত্বই পালন করছে না, একই সঙ্গে এটির পুরো আয়ুষ্কালে পারমাণবিক জ্বালানিও সরবরাহ করবে। এছাড়াও মিশরের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষ জনশক্তি তৈরি এবং প্রকল্প চালু হওয়ার পর প্রথম ১০ বছর পরও সার্ভিসিং দেবে রোসাটম। অন্য একটি চুক্তির আওতায় রাশিয়া স্পেন্ট নিউক্লিয়ার ফুয়েল সংরক্ষণের জন্য মিশরে বিশেষ সংরক্ষণাগার নির্মাণ এবং সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় কাস্কও সরবরাহ করবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২২
এসকে/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।