ঢাকা: থ্রি হুইলার লাইসেন্সধারী চালকদের রেজিস্টেশন, ব্লু বুক, দেওয়াসহ মালিক এবং সড়কে পুলিশি হয়রানি বন্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ঢাকা মহানগর সিএনজি অটোরিকশা চালক ঐক্য পরিষদ।
শুক্রবার (০৯ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তারা এই কর্মসূচি পালন করেন।
কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, আমরা চালকরা দীর্ঘসময় পরিশ্রম করেও অন্ন-বস্ত্রসহ-ছেলেমেয়েদের শিক্ষার খরচ চালিয়ে মাস শেষে ঘরভাড়াটাও দিতে কষ্ট হয়। পরিবার পরিজন অসুস্থ হলে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারি না। আমরা দীর্ঘদিন ধরে সিএনজি অটোরিকশা চালকরা সিএনজি অটোরিকশার মালিক- প্রশাসন ও চাঁদাবাজ দালালদের অত্যাচার সহ্য করে আসছি। দিন দিন তা বেড়েই চলেছে। আপনারা সবাই জানেন রাস্তার পরিস্থিতি ভালো নেই। প্রতিদিন ১৬০০ টাকা ঋণের বোঝা নিয়ে যাত্রা শুরু করি।
তারা বলেন, আমাদেরকে সবসময় বিড়ম্বনার মধ্যে থাকতে হয়। সামান্য অপরাধে ৭০০ থেকে ২৫০০ টাকা পর্যন্ত মিটারের মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়। পার্কিং নেই বললেই চলে। অথচ নো পার্কিংয়ের মামলা করে দেওয়া হচ্ছে। আমাদের দেশের পরিবহন শ্রমিকরা মনে করেন, এটা এমন একটা দেশ, ট্রাফিক সার্জেন্টরা সামনে পেলেই মনের মতো মামলা করে দেন। অপরদিকে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী এ ক্ষুদ্র যানটির দৈনিক জমা ৯০০ টাকা করা হয়েছে। তারপরেও মালিকরা ৯০০ টাকার চেয়ে বেশি হারে জমা নিয়ে থাকেন। মালিকের গাড়ির গ্যারেজ ভাড়া দিতে হয় চালককে।
বক্তারা বলেন, এখন আমাদের দাবি, নির্ধারিত ৫০০০ সিএনজি অটোরিকশা না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকা মহানগর হতে কোনো গাড়ি বন্ধ বা ওঠানো চলবে না। প্রশাসন কর্তৃক সিএনজি অটোরিকশায় চাঁদাবাজি বন্ধ করে যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে হবে। চলমান ৫০০০ সিএনজি অটোরিকশা চালকদের মাঝে বিতরণের আন্দোলনকে বিভ্রান্ত ও বিভক্ত করার জন্য বাড়তি ভাড়া আদায়কারী মালিকরা চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছেন। মালিকরা সিন্ডিকেট করে ৯০০ টাকা দৈনিক জমা ১১০০-১৩০০ টাকা নিচ্ছেন। চালকরা বিআরটিএ গিয়ে প্রতিকার চেয়েও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না। প্রায় ১০০০ সিএনজি অটোরিকশা মালিকদের কাছে ঢাকা শহরের প্রায় পঞ্চাশ হাজার সিএনজি অটোরিকশা চালক ও এক কোটি যাত্রী জিম্মি।
আমরা চাই এসব সকল সমস্যা দূর হোক।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২২
এইচএমএস/এসআইএস