ঢাকা, শনিবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৮ মে ২০২৪, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

স্বাস্থ্যে যন্ত্রপাতি কেনার আগে টেকনিশিয়ানদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২
স্বাস্থ্যে যন্ত্রপাতি কেনার আগে টেকনিশিয়ানদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে

ঢাকা: স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়ন ও রোগ নির্ণয়ের যন্ত্রপাতি কেনার আগে সংশ্লিষ্ট টেকনিশিয়ানদের যথাযথভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  

মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী এবং একনেক-এর চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক-এর সভায় এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

শেরে বাংলা নগরস্থ এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিং এ সংযুক্ত হন একনেক চেয়ারপারসন। সভা শেষে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের একথা জানান।

একনেক সভায় ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালায়েড সায়েন্স(ইনমাস) মিডফোর্ড, কুমিল্লা, ফরিদপুর, বরিশাল ও বগুড়ার সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্প নিয়ে আলোচনার সময় প্রধানমন্ত্রী এসব নির্দেশনা দেন। প্রকল্পের মোট ব্যয় ২১৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। ২০২২ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুন নাগাদ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন তুলে ধরে  বলেন, স্বাস্থ্যখাতের যন্ত্রপাতি কেনার আগে প্রশিক্ষণ দিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। যাতে করে সরকারি টাকায় কেনা যন্ত্রপাতির সঠিক সেবা পায় জনগণ। ’

মন্ত্রী বলেন, আমি চাকরি জীবনে যখন মাঠ পর্যায়ে ছিলাম তখন দেখেছি অনেকে স্বাস্থ্যের যন্ত্রপাতি খুলতেই পারে না। তবে কীভাবে মানুষ সঠিক সেবা পাবে?

‘মাশরুম চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্র হ্রাসকরণ’ প্রকল্পটি ৯৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়। পুষ্টির চাহিদা মেটানো ও দারিদ্র দূর করতে সারাদেশে মাশরুম চাষ সম্প্রসারণ করবে সরকার। জুলাই ২০২২ হতে জুন ২০২৭ মেয়াদে এই উদ্যোগ নেওয়া হবে।  

বাংলাদেশের ৬৪ জেলার যে সকল উপজেলায় মাশরুম চাষের সম্ভাবনা রয়েছে তেমন ১৬০টি উপজেলা ও ১৫টি মেট্রোপলিটন থানায় সম্ভাবনা আছে। মাশরুম একটি পুষ্টিকর ও সুস্বাদু খাবার, যা চাষের জন্য আবাদি জমির প্রয়োজন হয় না।  
বাংলাদেশের আবহাওয়া বছরজুড়ে এটি চাষের উপযোগী । হোটেল, রেস্টুরেন্ট এবং উচ্চবিত্ত জনগণের কাছে মাশরুমের পর্যাপ্ত চাহিদা রয়েছে। আগ্রহী উদ্যোক্তাদের মাশরুম চাষে সহযোগিতা করার লক্ষ্যে প্রকল্পটি গ্রহণের প্রস্তাব করা হয়েছে।

এই প্রকল্প অনুমোদনের সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো জমি অনাবাদি না রেখে চাষাবাদ বাড়াতে হবে। জমির সর্বোত্তম ব্যবহার করতে হবে।  প্রকল্প দ্রুত শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।  

আজকের সভায় ৮ হাজার ৭৩৯ কোটি ৬৮ লাখ টাকা ব্যয়ে মোট ৬টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।  

মন্ত্রী বলেন, ৮ হাজার ৭৩৯ কোটি ৬৮ লাখ টাকা ব্যয়ে মোট ৬টি প্রকল্পের মধ্যে সরকারের অর্থায়নে ৫ হাজার ৯২৯ কোটি ৩ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক অর্থায়নে ২ হাজার ৮১০ কোটি ৬৫ লাখ টাকা রয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২
এসএমএকে/এসআইএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।