সিরাজগঞ্জ: পূজার ছুটির সঙ্গে একদিন বেশি ছুটি চাওয়ায় নুরে আলম সিদ্দিক নামে এক সহকারী অধ্যাপককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার খামারগ্রাম ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ হায়দার আলীর বিরুদ্ধে।
রোববার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে খামারগ্রাম ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী সহকারী অধ্যাপক নুরে আলম সিদ্দিক অভিযোগ করে বলেন, অসুস্থ ছেলেকে দেখতে ঢাকা যাওয়ার জন্য সোমবারের কালীপূজার ছুটির সঙ্গে একদিন বেশি ছুটির আবেদন নিয়ে রোববার দুপুরে অধ্যক্ষের কক্ষে যাই। আবেদনের কপি হাতে নিয়ে তিনি মুড়িয়ে ফেলে দিয়ে কোনো ছুটি দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে বলেন, এটা আমার এখতিয়ার কাকে ছুটি দেব না দেব সেটা আমার বিষয়।
নুরে আলম আরও বলেন, অধ্যক্ষ বিভিন্ন সময় অনিয়ম দুর্নীতি করেন। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন তথ্য কারা দেয়। এটা দেখে নেওয়া হবে বলে তিনি মারতে উদ্যত হন।
এসময় আরেক প্রভাষক আমিরুল ইসলাম একটি স্বাক্ষর নিতে গেলে তাকেও লাঞ্ছিত ও অপমান করা হয় বলে অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে কলেজের শিক্ষক প্রতিনিধি প্রভাষক উজ্জ্বল কুমার সুত্রধর বলেন, অধ্যক্ষ স্যারের এমন উত্তেজিত আচরণ শোভনীয় নয়। কলেজের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে সবাইকে সহনীয় হতে হবে। এর প্রভাব শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় পড়বে। আরও কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষিকা ওই অধ্যক্ষের নানা অনিয়ম ও সহকর্মীদের সঙ্গে তার অশোভনীয় আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করলেও খামারগ্রাম ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ হায়দায় আলী কোনো প্রকার মন্তব্য করতে রাজি হননি।
চৌহালী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এম আরিফ সরকার জানান, নানা সময় অধ্যক্ষ হায়দার আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, গণমাধ্যমে সংবাদ হয়। এটা আসলে লজ্জাজনক। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করে ব্যবস্থা নেবে।
খামারগ্রাম ডিগ্রি কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি চৌহালীর ইউএনও আফসানা ইয়াসমিন জানান, আচরণতো আইন করে শেখানো যাবে না। এ বিষয়ে সহকারী অধ্যাপকের লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২২
আরএ