ঢাকা, রবিবার, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৯ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ৭ লাখ টাকা জরিমানা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২২
এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ৭ লাখ টাকা জরিমানা

ঢাকা: মশক নিধন অভিযানের পঞ্চম দিনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় মোট ৮ মামলায় ৬ লাখ ৯৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এছাড়াও রাস্তা ও ফুটপাতে মালামাল রেখে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় ৫টি মামলায় ২১ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

রোববার (২৩ অক্টোবর) ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলে একযোগে এই অভিযান পরিচালনা করেন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। অভিযান চলবে আগামী ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত।

এদিন বিকেলে ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন বাংলানিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ডিএনসিসির অঞ্চল-৫ এর আওতাধীন ৩০ নম্বর ওয়ার্ডস্থ মনসুরাবাদ হাউজিং এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ এডিস মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে মশক নিধন অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযানে তিনটি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৩ মামলায় মোট ৬ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এ সময় এডিস মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে জনগণকে সচেতন করা হয় ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এছাড়া অঞ্চল-১ এর আওতাধীন খিলক্ষেত এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলকার নায়ন অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানকালে বাসা-বাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনে, ফাঁকা প্লট, ড্রেন এবং ঝোপঝাঁড়ে কিউলেক্স মশক বিরোধী অভিযান ও সমন্বিততভাবে এডিশ বিরোধী অভিযানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ৩ মামলায় মোট ৮০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। পাশাপাশি ফুটপাতে নির্মাণ সামগ্রী রেখে জনসাধারণের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার আরেক মামলায় আরও ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়াও এডিসের লার্ভা পাওয়ায় আরও ১টি নিয়মিত মামলা করা হয়।

তিনি আরও জানান, ডিএনসিসির অঞ্চল-৪ এর আওতাধীন ১৬নং ওয়ার্ডের পূর্ব কাফরুল এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবেদ আলী একই অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে প্রায় ৮০টি ভবন, স্থাপনা, জলাশয়, রেষ্টুরেন্ট ও দোকানপাট পরিদর্শন করা হয়েছে। ফুটপাত ও রাস্তায় মালামাল রেখে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় ৪ মামলায় ১১ হাজার ৫০০টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। একটি বাড়িতে লার্ভা পওয়ায় ১টি নিয়মিত মামলা করা হয়।

অন্যদিকে অঞ্চল-২ এর আওতাধীন মিরপুর মডেল থানা এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান অভযান পরিচালনা করেন। অভিযানে লার্ভা পাওয়ায় ১টি মামলায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

অঞ্চল-৯ এর আওতাধীন সাতারকুল এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউল বাসেত অভিযান পরিচালনা করেন। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ১টি মামলায় ৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং ১টি নিয়মিত মামলা করা হয় বলে জানিয়েছেন মকবুল হোসাইন।

এছাড়াও সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে লিফলেট বিতরণ এবং মাইকিং করে জনসাধারণকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সচেতন করেন।

ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকতা ব্রি.জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান ও উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকতা লে. কর্ণেল মো. গোলাম মোস্তফা সারওয়ার কয়েকটি অঞ্চল পরিদর্শন করেছেন বলে জানান এই ডিএনসিস কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ সময়: ২২৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২২

এমএমআই/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।