ফরিদপুর: ফরিদপুরের ভাঙ্গা পৌরসভার কর্মচারী আলাল মাতুব্বরের বাসায় চুরির ঘটনা ঘটেছে। দিনের বেলাতেই ওই কর্মচারীর মেয়েকে চেতনানাশক স্প্রে দিয়ে অজ্ঞান করে চুরি করা হয়।
শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) সকালে ভাঙ্গা পৌরসদরের ভাঙ্গা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন বিল্লাল মাতুব্বরের বাড়ির চতুর্থ তলায় এ ঘটনা ঘটে।
সেখানে চোরের দল অজ্ঞান করার ওষুধ স্প্রে বোতলে করে আলাল মাতুব্বরের এসএসসি পরীক্ষার্থী মেয়ে রিদিতাকে (১৪) অজ্ঞান করে ফেলে রেখে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় আলাল মাতুব্বর ভাঙ্গা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ভুক্তভোগী আলাল মাতুব্বর বলেন, প্রতিদিনের মতো আমি সকালে কাজের জন্য বাসা থেকে বের হই। এ সময় আমার স্ত্রীও আমার এক সন্তানকে নিয়ে কোচিংয়ে যায়। বাসায় আমার আরেক মেয়ে রিদিতা ছিল। চোরের দল বাসার দরজা নক করে তার কাছে আমার মোবাইল নম্বর চায়। সে দরজা খুলে মোবাইল নম্বর বলতে বলতেই তারা আমার মেয়ের চোখে মুখে চেতনানাশক স্প্রে করে।
তিনি আরও বলেন, আমার স্ত্রী কোচিং থেকে ফিরে মেয়েকে ফ্লোরে পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন এসে মেয়েকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার বলেছে নির্দিষ্ট একটি সময় পর আমার মেয়ের জ্ঞান ফিরবে। চোরের দল ঘরে থাকা এক লাখ ২২ হাজার টাকা, স্বর্ণালংকারসহ বেশ কিছু দামি জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যায়।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়ারুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। বিস্তারিত পরবর্তীতে জানানো যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২২
এফআর