হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের ৪টি উপজেলার হাওরে শুরু হয়েছে রোপা আমনের ধান কাটা। জেলার ৯টি উপজেলার হাওর থেকে এবার ৭৬৪ কোটি টাকার ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।
রোপা আমন মৌসুমে এবার হবিগঞ্জের ৯টি উপজেলায় ৮০ হাজার ২০০ হেক্টর জমি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। তবে আবাদ হয়েছে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৮৮ হাজার ২৫৮ হেক্টর। ইতোমধ্যেই জেলার মাধবপুর, চুনারুঘাট, নবীগঞ্জ ও লাখাই উপজেলার হাওরে ধান কাটা শুরু হয়েছে। জমি থেকে ধান ঘরে তোলায় দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষক-কৃষাণীরা।
হবিগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা আশেক পারভেজ বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, রোপা আমন মৌসুমে ৪টি উপজেলার হাওরে চাষ করা আগাম জাতের ধান কাটা শুরু হয়েছে। যে জমিগুলোয় ব্রি ধান-৯০, ব্রি ধান-৭৫ ও বিনা-৭ রকমের ধান চাষ করা হয়েছিল, সেগুলো এখন কাটা হচ্ছে। এগুলো শেষ হওয়ার আগেই শুরু হবে হাইব্রিড ধান তোলা। পুরোপুরিভাবে ধান তোলার মহাযজ্ঞ শুরু হবে আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে। এবার প্রতি হেক্টর জমি থেকে সোয়া ৩ মেট্রিক টন হিসেবে জেলায় ২ লাখ ৭৮ হাজার ১২ টন ধান তোলার সম্ভাবনা রয়েছে। মনের হিসাবে মোট ধান উৎপাদন হবে ৬৯ লাখ ৫০ হাজার ৩১৭ মন।
তিনি আরও জানান, গত বছর সরকার কৃষকদের কাছ থেকে ১ হাজার ৮০ টাকা মণ দরে ধান কিনছে। এবার যেহেতু খরচ কিছুটা বেড়েছে তাই ১ হাজার ১০০ টাকা মণ ধান কেনার সুপারিশ করা হয়েছে। সে হিসেবে হবিগঞ্জ জেলায় লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী দান উৎপাদন হবে ৭৬৪ কোটি ৫৩ লাখ ৩০ হাজার টাকার।
বাংলাদেশ সময়: ০৮১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২২
এমজে