গাইবান্ধা: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে অভিযান পরিচালনা করে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা নয়টি কাঠকয়লার কারখানা গুড়িয়ে দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
বুধবার (০২ নভেম্বর) দুপুর থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের গোপালপুর, জীবনপুর ও ছয়ঘরিয়া এলাকায় এ অভিযান পরিচালিত হয়।
এ সময় কারখানাগুলোর চুল্লিতে আগুন নেভানোর পর বুলডোজার দিয়ে চিমনিসহ সব স্থাপনা ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক সৈয়দ ফরহাদ হোসেন। এছাড়া তার সঙ্গে ছিলেন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফ হোসেন।
ফরহাদ হোসেন জানান, স্থানীয় মানুষের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর সব ধরণের কারখানার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। পরিবেশ ধ্বংসকারী এমন সব অবৈধ কারখানা বন্ধে অভিযান অব্যাহত রাখা হবে।
ইউএনও আরিফ হোসেন জানান, অবৈধভাবে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির কারণে পরিবেশ দুষণসহ নানা ধরণের রোগব্যাধি ছড়িয়ে পড়ে। এ কারণে স্থানীয় জনগণের স্বাস্থ্য ও পরিবেশ রক্ষায় এ ধরনের অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে আরও অভিযানের মাধ্যমে উপজেলার সবগুলো কারখানা ধ্বংস করা হবে।
এলাকাবাসী জানান, মহিমাগঞ্জ ইউনয়নের এসব কারখানায় প্রতিদিন টনকে টন কাঁচা কাঠের গুড়ি পুড়িয়ে তৈরি হতো কাঠকয়লা। তারপর সেগুলো ট্রাকে ভরে দেশের বিভিন্ন স্থানে গড়ে তোলা ব্যাটারি পোড়ানোর কারখানায় পাঠানো হতো। অবৈধভাবে পরিবেশ নষ্ট করে তৈরি এসব কয়লা দিয়ে আবার অবৈধভাবেই পোড়ানো হতো ব্যাটারির শিসা। এলাকার বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে স্থাপিত কারখানাগুলোর ধোঁয়ায় শিশু শিক্ষার্থীসহ সব শ্রেণীর মানুষ চরম স্বাস্থ্যঝুঁকির শিকার হন।
তারা অভিযোগ করেন, কারখানা বন্ধ বা অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে এলাকাবাসীর শত অনুরোধেও কোনো কাজ হয়নি। সব ধরনের নিয়মনীতিকে এবং আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় গড়ে ওঠা কারখানাগুলো পরিবেশের চরম বিপর্যয় ঘটিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছিল। অবশেষে আশপাশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ এলাকাবাসীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির বেশ কয়েকটি কারখানা গুড়িয়ে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০২২
এফআর