ঢাকা, রবিবার, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ১২ মে ২০২৪, ০৩ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

‘পরিবেশ রক্ষায় জিও-এনজিও একসাথে কাজ করবে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০২২
‘পরিবেশ রক্ষায় জিও-এনজিও একসাথে কাজ করবে’

রাজশাহী: রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবে বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি খেসারত দিচ্ছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে সব সময়ই চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া থাকার কুফল পড়েছে দেশের শস্যভাণ্ডার খ্যাত উত্তরের শহর রাজশাহীতে।

তিনি বলেন, এখানে গরম বাড়ছে এবং শীত কমছে। আবার কখনও কখনও গরমের সময় গরম বেশি এবং শীতের সময় শীত! তাই পরিবেশ রক্ষায় আর কোনো আপস নয়। এখন থেকে পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষায় জিও-এনজিও অর্থাৎ সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান একসঙ্গে কাজ করবে।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) উদ্যোগে বুধবার (২ নভেম্বর) এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। রাজশাহীর হোটেল ওয়ারিশানের হলরুমে ‘অস্তিত্ব সংকটে রাজশাহী নগরীর পুকুর/জলাশয়: পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ জরুরি’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেলা’র রাজশাহী কার্যালয়ের সমন্বয়কারী তন্ময় কুমার সান্যাল। মূল প্রবন্ধে বলা হয়, রাজশাহী অতি প্রাচীন এবং দেশের উল্লেখযোগ্য একটি বিভাগীয় শহর। রেশম, শিক্ষা এবং চিকিৎসা মহানগরী হিসাবেও রাজশাহী সুপরিচিত। রাজশাহী পরিচ্ছন্ন মহানগর হিসাবে দেশ-বিদেশে পরিচিতি পেয়েছে। তবে পুকুরের মহানগর হিসাবেও একসময় এই মহাগরের পরিচিতি ছিল। মহানগরবাসী সেসব পুকুরের পানি প্রাত্যহিক কাজে ব্যবহার করতেন। এমনকি রাজশাহী মহানগরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত সোনাদীঘির পানি বিশুদ্ধ পানি হিসেবেই পান করতেন।

মূল প্রবন্ধে আরও বলা হয়, স্বাধীনতা উত্তর রাজশাহী মহানগরে কয়েক হাজার পুকুর ছিল। ২০১৪ সালের বোয়ালিয়া ভূমি অফিসের এক তথ্যে দেখা যায়, প্রায় এক হাজারের মতো পুকুর অবশিষ্ট ছিল। কিন্তু বর্তমানে পুকুরের সংখ্যা ২০০ এর নিচে নেমে গেছে। গত কয়েক দশকে বিশেষ করে গত পনেরো বছরে রাজশাহী মহানগরের অধিকাংশ পুকুরই ভরাট করা হয়েছে। কখনো প্রকাশ্যে, আবার কখনো রাতের অন্ধকারে এই শহরের পুকুরগুলো একের পর এক ভরাট হয়ে চলেছে। পুকুর ভরাট করে সেখানে বাণিজ্যিক ভবন, অট্টালিকা বানানো হয়েছে এবং সেই প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে। পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্যমতে, বিগত কয়েক দশকে মহানগরের প্রায় ৯৭ ভাগ পুকুর বা জলাশয় ভরাট করা হয়েছে। অথচ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কার্বন সংরক্ষণ, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ এবং ভূগর্ভস্থ পানির স্তর রক্ষায় পুকুর বা জলাশয়ের অবদান অনস্বীকার্য। তাই অবশিষ্ট পুকুরগুলোকে রক্ষায় সরকার ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো একসাথে কাজ করতে হবে।

সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) রাজশাহী জেলার সভাপতি এবং রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. দীপকেন্দ্র নাথ দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের প্রফেসর ড. রেদওয়ানুর রহমান, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সচিব মশিউর রহমান, পরিবেশ অধিদপ্তর রাজশাহী জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক কবির হোসেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০২২
এসএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।