ঢাকা, শনিবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১১ মে ২০২৪, ০২ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

কাজে আসছে না দীঘিনালার দু’টি কমিউনিটি সেন্টার

অপু দত্ত, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২২
কাজে আসছে না দীঘিনালার দু’টি কমিউনিটি সেন্টার

খাগড়াছড়ি: পাহাড়ি জেলা খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার বড়াদম ও বাবুছড়ায় সরকারি অর্থে নির্মিত দু’টি কমিউনিটি সেন্টার এখন কোনও কাজেই আসছে না। জরাজীর্ণ ও ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে সেগুলো।

বছরের পর বছর ধরে পড়ে থাকলেও কোনও ব্যবস্থাই নিচ্ছে না উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ। তবে সংস্কারের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।

দীঘিনালা উপজেলার জনবহুল দু’টি ইউনিয়ন হলো- দীঘিনালা ও বাবুছড়া ইউনিয়ন। সেই বিবেচনায় দীঘিনালা ইউনিয়নের বড়াদম এবং বাবুছড়া ইউনিয়নের রূপচন্দ্র কার্বারি পাড়ায় এলাকাবাসীর সুবিধার্থে ২০০১-২০০২ সালে দু’টি কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ করা হয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড এগুলো নির্মাণ করে।

প্রথমদিকে এসব সেন্টারে বিভিন্ন সামজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হলেও বিগত ৭-৮ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে সবকিছুই। কোনও কাজে আসছে না এলাকার মানুষের। উপরোন্তু জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে কমিউনিটি সেন্টারের দরজা, জানালা ও সিলিং। চালার টিনগুলো জং ধরে নষ্ট হওয়ায় বৃষ্টি হলে পানি পড়ে ঝরঝরিয়ে।  

অন্যদিকে প্রতিষ্ঠাকালেই বড়াদম কমিউনিটি সেন্টারে বসার চেয়ারসহ বেশ কিছু সরঞ্জামের অপূর্ণতা ছিল বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।

স্থানীয় বাসিন্দা জ্ঞান চাকমা, বরণ সেন চাকমা বলেন, নির্মাণের পর থেকে কমিউনিটি সেন্টারটি স্থানীয়রা ব্যবহার করে আসছিল। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আয়োজন হতো। কিন্তু বিগত ৭-৮ বছর ধরে এটি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। এগুলো সংস্কার করা প্রয়োজন।

দুই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রজ্ঞান জ্যোতি চাকমা ও সন্তোষ জীবন চাকমা জানান, নির্মাণের পর থেকে খোঁজ রাখেনি উন্নয়ন বোর্ড সংশ্লিষ্টরা। জনপ্রতিনিধিরাও কমিউনিটি সেন্টারগুলো সংস্কার করে ব্যবহার উপযোগী করে তোলার দাবি জানান।

দীঘিনালার সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নব কমল চাকমা বলেন, এই অঞ্চলে কমিউনিটি সেন্টার খুবই প্রয়োজন ছিল বলে আমরা সরকারের কাছে আবেদন নিবেদন করে সেন্টারগুলো প্রতিষ্ঠা করেছি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, অসমাপ্ত অবস্থায় কাজ শেষ করা হয়। এখন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন রাখব, যাতে কমিউনিটি সেন্টার দু’টি সংস্কার করা হয়।

এ বিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড খাগড়াছড়ির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মুজিবুল আলম বলেন, এ বিষয়ে এলাকাবাসী আমাদের কাছে আবেদন করেছেন। এরই প্রেক্ষিতে কমিউনিটি সেন্টার দু’টি সংস্কার করে ব্যবহার উপযোগী করে দেয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২২

এডি/এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।