ঢাকা, মঙ্গলবার, ১ মাঘ ১৪৩১, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

প্রাইভেট না পড়ায় দুই মাদরাসা শিক্ষার্থীকে শিক্ষিকার মারধর 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০২২
প্রাইভেট না পড়ায় দুই মাদরাসা শিক্ষার্থীকে শিক্ষিকার মারধর 

লক্ষ্মীপুর: প্রাইভেট না পড়ার অজুহাতে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে দুই শিক্ষার্থীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় শিক্ষিকার বিচার দাবি করে প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এক অভিভাবক।

মঙ্গলবার লক্ষ্মীপুর দারুল উলুম কামিল (এম.এ) মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত শিক্ষক সালমা আক্তার ওই মাদরাসার সহকারী (বাংলা) শিক্ষক।

ভূক্তভোগী শিক্ষার্থীরা হলো মাদরাসার ৯ম শ্রেণির ছাত্রী ফাতেমা জোহরা মীম ও ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী নুহা।

শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক এবং মাদরাসার শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মীম বাংলা বিষয়ের শিক্ষিকা সালমা আক্তারের কাছে প্রাইভেট পড়তো। ১০দিন প্রাইভেট পড়ার পর হঠাৎ মীম প্রাইভেট পড়া বন্ধ করে দেয়। তখন মীম তার ১০দিনের প্রাইভেট পড়ার টাকা দিতে চাইলে শিক্ষিকা সালমা আক্তার সেই টাকা নেননি। মঙ্গলবার মীমের হাদিস পরীক্ষা ছিল। এদিন কেন্দ্রের দায়িত্ব পড়ে শিক্ষিকা সালমা আক্তার ও শিক্ষক জলিলের। দায়িত্ব পালনকালে এ দুই শিক্ষক তর্কে-বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন।  

পরে শিক্ষিকা সালমা আক্তার প্রাইভেট না পড়ার জের ধরে মীমের ওপর রেগে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে তাকে চড়থাপ্পড় মারতে থাকেন। এ সময় মীমের পাশে বসা নুহাকেও মারধর কর হয়। পরে খবর পেয়ে তাদের স্বজনরা এসে তাদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।  

বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন মীমের মা মর্জিনা বেগম।  

মর্জিনা বেগম জানান, কোনো কারণ ছাড়াই আমার মেয়েকে মারধর করা হয়েছে। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

অভিযুক্ত শিক্ষক সালমা আক্তার বলেন, আমার কাছে মীম ৫ মাস প্রাইভেট পড়েছে। হঠাৎ সেই আর প্রাইভেটে আসছে না, আমার টাকাও দিচ্ছে না। এছাড়া মীম আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। তাই আমি আজ তাকে চড়থাপ্পড় দিলাম। এখানে দোষের কি হয়েছে? 

মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা নেছার উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় আমরা লজ্জিত। একজন শিক্ষক এভাবে পরীক্ষা কেন্দ্রে রাগান্বিত হয়ে ছাত্রীদের মারধর করতে পারেন না। আমাদের মাদরাসার পরিচালনা কমিটির সঙ্গে জরুরি মিটিং করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মাদরাসার সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ জানান, ঘটনাটি খুব দুঃখজনক। বিস্তারিত জেনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫০, নভেম্বর ৩০, ২০২২
এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।