ঢাকা, বুধবার, ২৮ কার্তিক ১৪৩১, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মুক্তমত

আম-ছালা কী দুটোই যাবে?

ফজলুল বারী, কন্ট্রিবিউটিং এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১১
আম-ছালা কী দুটোই যাবে?

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ইলেকশন হবে। কোন দলই এখনতক প্রার্থী করেনি।

শাসকদল আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে ইচ্ছুক দু’জন। এখন ভোটের আগেই শাসক দলের একজন আরেকজনকে ফেলে দিতে চাইছেন!

এই দু’জন সাবেক পৌর মেয়র ডা. আইভি রহমান আর সাবেক এমপি শামীম ওসমান। দু’জনই আওয়ামী লীগের সাবেক দুই প্রভাবশালী নেতার ছেলে মেয়ে। প্রয়াত শামসুজ্জোহার ছেলে শামীম ওসমান। আইভির পিতা প্রয়াত আলী আহমদ চুনকা। তার নামে একটি মিলনায়তন আছে নারায়ণগঞ্জ শহরে।

প্রার্থী হিসাবে দু’জনই এর মাঝে যার যার মতো করে গণসংযোগ, লবি চালিয়ে যাচ্ছেন। এর মাঝে খবর বেরিয়েছে আইভি আওয়ামী লীগের নমিনেশন না পেলে বিএনপির প্রার্থী হতে পারেন। যেমনটি এর আগে মেয়র মঞ্জুরের ক্ষেত্রে ঘটেছে চট্টগ্রামে। প্রকাশিত খবরের ব্যাপারে নিজের অবস্থান জানাতে রোববার নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে গিয়েছিলেন আইভি রহমান। সেখানে তিনি বলার চেষ্টা করেছেন, তার প্রয়াত পিতা সারা জীবন আওয়ামী লীগ করেছেন। কখনো কোন অবস্থাতে দল ছেড়ে যাননি। চুনকার মেয়ে হিসাবে তিনিও আর কোথাও যাবেন না, ইত্যাদি।

কিন্তু নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে  প্রশাসনের একদল লোক ওই প্রেসকনফারেন্স ভণ্ডুল করেছে এই অভিযোগে নির্বাচনী প্রচার চলছে। অভিযোগটা হলো, তারা শামীম ওসমানের নির্দেশনাতেই এ কাজটি করেছে।

প্রশ্ন- আওয়ামী লীগের নমিনেশন পাবার জন্য এটি কোনও পথ? এ অবস্থায় নমিনেশন পেলেও রেজাল্টটা কী হতে পারে?

আ’লীগের এমপি, কবরীর প্রতি উদ্যত হয়ে তেড়ে আসছেন শামীম ওসমান এমন একটা ছবি আগেই প্রকাশ পেয়েছে। এরসঙ্গে যোগ হবে নারায়ণগঞ্জের সাম্প্রতিক সময়ের জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি আইভিকে বিতাড়ণের ছবি যোগ হলে তা নিশ্চয়ই সুখকর হবে না! এমন দুটি ছবি দু’পাশে রেখে নমিনেশন বাগিয়ে নিতে পারলেই যে পাশ করা যাবে, এমন গ্যারান্টিও নিশ্চয়ই নেই। কারণ ভোটতো পাবলিক দেবে!

এখন নারায়ণগঞ্জের প্রথম সিটি ইলেকশনকে সুষ্ঠু করার নিয়ত থাকলে রোববারের ঘটনার বিষয়ে সবার আগে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে ইলেকশন কমিশনকে । পুলিশসহ এমন দলবাজ কিসিমের সরকারি লোকজনকে কী সেখানে কমিশন পাঠিয়েছে? সেখানে গিয়ে তাদের এ রকম হম্ভিতম্ভি ত্রাস সৃষ্টির নির্দেশনা কী দিয়েছে কমিশন?

আইভি রহমান অভিযোগ করে বলেছেন, ‘স্থানীয় প্রশাসনের অনেকে এর মাঝে আওয়ামী লীগের অপর মনোনয়ন প্রত্যাশী শামীম ওসমানের লাঠিয়ালগিরি শুরু করেছেন!’ রোববারের ঘটনার পর স্থানীয় সাংবাদিকের কাছেও তা বদ্ধমূল হয়েছে। চাচী কবরীর সঙ্গে শামীম ওসমানের বেয়াদবি-মস্তানির নতুন কলংক তিলক যেন অলরেডি আমলনামায় মিশে গেছে চাচাতো বোন আইভি তাড়ানোর মিশনের কারণে!

এখন সেখানকার স্থানীয় প্রশাসনের রোববারের চেহারা দেখার পর অনেকেই মনে করছেন সবার আগে ইলেকশন কমিশনকে ‘অপারেশন ক্লিন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ ফরজভাবে করা লাগবে। কারণ রোববার যাদেরকে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে গিয়ে হম্ভিতম্ভি-লাফালাফি করতে দেখা গেছে, অন্তত এমন কিসিমের লোকজনকে নারায়ণগঞ্জে বহাল রেখে সেখানে আর যাই হোক সুষ্ঠু ইলেকশন চিন্তা করা যায় না।

আওয়ামী লীগ সেখানে নমিনেশন কাকে দেবে না দেবে সেটি তাদের ব্যাপার। কিন্তু সেখানকার অনেকে মনে করছেন এভাবে দলের চেয়ে আমার বা আমার পরিবারের কন্ট্রোল থাকা বড়’ জাতীয় যে ধারণা সৃষ্টি করা হয়ে গেছে তাতে ভোটের আগেই যেন শাসকদল আওয়ামী লীগ ক্ষতিগ্রস্ত!

যে  কোনওভাবে নিজের মনোনয়ন আদায়ে দলনেত্রী আইভি রহমানকে দল থেকে বিদায় অথবা তাড়ানোর যে মিশন শামীম ওসমান নিয়েছেন, তা এরই মাঝে আওয়ামী লীগের গৃহদাহ তথা অভ্যন্তরীণ অশান্তি হিসাবে শিরোনাম পেয়েছে। নারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশে নারায়ণগঞ্জে শামীম যেন নিয়েছেন নারীবিতাড়ন নীতি! তাই প্রধানমন্ত্রী কবরীকে সেখানে এমপি করলেও শামীম তাঁর গায়ে হাত তুলতে যান! এখন যেন তার পথের কাঁটার নাম আইভি! নিউজিল্যান্ড থেকে দেশে ফিরিয়ে এনে হাসিনা যাকে নেত্রী করছেন, নিজের স্বার্থে শামীম এখন তাকে পারলে আওয়ামী লীগ ছাড়া করেন আর কী! এ যেন কবরী বা আইভি না, বরং খোদ হাসিনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ শামীম ওসমানের!

এখন যে কারণে গত ইলেকশনে আওয়ামী লীগ জয়নাল হাজারি-শামীম ওসমানদের প্রার্থী করেনি, গত ইলেকশনে এর সুফল পেলেও দলটি আবার  পুরনো, ভয়ংকর পরিত্যক্ত পথে ফেরত যাবে কিনা তা এখন মিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন! কারণ ইনারা আওয়ামী লীগের কোন মডেল চরিত্র না! বিপদের কারণ-চরিত্র!

১৯৯৬-২০০১ জমানায় নারায়ণগঞ্জে শামীম ওসমান, ফেনীতে জয়নাল হাজারী, লক্ষীপুরে আবুল খায়েরের ত্রাসের রাজত্ব দেশের মানুষ দেখেছে। পছন্দ করেনি। কারণ এমন কিসিমের লোকজন মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বের সংগঠন আওয়ামী লীগের নীতি আদর্শ, চেহারা-সুরতের সঙ্গে মেলে না। এরপর এদেরকে কেন যেন পছন্দ করে আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়েছেন শেখ হাসিনা, এর উত্তর তিনি ছাড়া আর কারো সহি জানার কথা না!

আমরা শুধু এদের কীর্তি জানি! ফেনীতে হাজারী বাহিনী সাংবাদিক টিপু সুলতানকে অবিশ্বাস্য হিংস্র কায়দায় টর্চারের মাধ্যমে রিপোরতার্স সাঁস ফ্রঁতিয়ের্স ( reporters sans frontiers) নানান আন্তর্জাতিক সংগঠন-সংস্থার খাতাপত্রে সাংবাদিক-নির্যাতক দল হিসাবেও আওয়ামী লীগের নাম তোলা সম্ভব হয়! লক্ষীপুরের খায়ের বাহিনীর তাণ্ডবের শিকার সেখানকার জনপ্রিয় মানুষ অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলামের লাশটা পর্যন্ত পাওয়া যায়নি!

আর খালেদা জিয়ার রোড মার্চে ব্যারিকেড সৃষ্টি সহ শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জে এতসব ভালো কাজকর্ম (!) করেছিলেন যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দেশে আসার পর জয়নাল হাজারীর মতো তাকেও দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছে! ফেনী সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে ত্রিপুরায় আশ্রয় নেবার পর মোবাইল নেটওয়ার্কের ভিতরে থাকাতে প্রতিদিন মিডিয়াকে ফোনে দেশে থাকার মিথ্যা গল্প বলতেন হাজারী! আর শামীম ওসমান চলে যান কানাডায়। সেখানে ট্রাক্টরে কৃষি খামারে কাজকর্মের ছবিও তিনি তখন মিডিয়াকে দিয়েছেন।

আর সব মিলিয়ে এমন অবস্থা হয়েছিল যে আওয়ামী লীগ এবার আবার ক্ষমতায় না ফেরা অবধি তাদের আর দেশে ফেরা হয়নি! ২০০৪ সালের তেমন একটি অবস্থায় আলী আহমদ চুনকার নিউজিল্যান্ড প্রবাসী মেয়ে ডা. আইভি রহমানকে দেশে ফিরিয়ে তাকে নারায়ণগঞ্জ পৌর ইলেকশনের প্রার্থী করেন শেখ হাসিনা। জনপ্রিয় চুনকা পরিবারের এই নিউব্লাডকে সাদরে গ্রহণ করেছে শীতলক্ষ্যা পারের মানুষ।

বাংলাদেশের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের তথা ইউপি-পৌর মেয়র-কাউন্সিলদের অনেক নানান কারণে বদনাম যত হয়, আইভির নামে তেমন কিছু শোনা যায়নি। অথবা সেসব অর্জন নিজেকে নিরাপদ রাখতে সমর্থ হয়েছেন জননেতা আলী আহমদ চুনকার মেয়ে আইভি রহমান।

এসব নানা হিসাব-নিকাশে ২০০৮ সালের ইলেকশনে কিন্তু সাবেক সম্পদ হাজারী-শামীম ওসমানদের নমিনেশনের খাতাতেই রাখেননি শেখ হাসিনা। হয়ত জেলখানায় বসে অতীতের নানা আশ্রয়-প্রশ্রয়ের লাভক্ষতি তিনি মিলিয়ে দেখতে পেরেছেন। শামসুজ্জোহা পরিবারের বউ, ঢাকাই ছবির সোনালী যুগের মিষ্টি মেয়ে নায়িকা কবরীকে সেখানে মনোনয়ন দিলেও শামীম ওসমানকে দেননি।

যদিও স্বৈরাচারী এরশাদের ব্যানারে দরকষাকষি করে তাঁর কিসিমের ইমেজের ভাই নাসিম ওসমান নারায়ণগঞ্জের আরেক আসনে মনোনয়ন নিয়ে জিতেও এসেছেন। সেই নারায়ণগঞ্জে এখন কবরী-শামীম ওসমান কারোর ইমেজই ভালো নয়। সবশেষ সেখানকার জেলা প্রশাসকের অফিসে দলের এমপি কবরীর প্রতি শামীম ওসমানের যে মারমুখো ছবি দেশের মানুষ দেখেছে, তা যেন ভীতি ছড়ানোরই কাজ হয়েছে আওয়ামী লীগের নামে! রোববার আইভিকে অপদস্ত করতে যে ভীতি ছড়ানো হলো এমন ইমেজের প্রার্থী শামীম ওসমানকে আবার যদি আওয়ামী লীগ স্নেহের কোলে ফেরত নেয় এর রেজাল্ট কী দাঁড়াবে?

একটা ঘটনা মনে পড়ছে। ২০০১ সালের ইলেকশনে পলাতক অবস্থায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন জয়নাল হাজারী। নির্বাচনী প্রচারে রাত ২টার দিকে গিয়ে পৌঁছন শেখ হাসিনা। সঙ্গে তোফায়েল আহমদ। ফেনীর জনসভায় তোফায়েল আহমদ বলেন, আজ থেকে আমি আপনাদের নেতা হাজারীর দায়িত্ব আমার কাঁধে তুলে নিলাম।

২০০১ সালের ইলেকশনের রেজাল্টের পর তোফায়েল আহমদের সেই বক্তব্য খুব মনে পড়েছে! সন্ত্রাসী ইমেজের জয়নাল হাজারীর দায়িত্ব নিতে চেয়েছিলেন ঊনসত্তুরের গণঅভ্যুত্থানের মহানায়কদের একজন তোফায়েল আহমদ! আর পাবলিক দায়িত্ব নিয়ে ফেলেছে আওয়ামী লীগের! সন্ত্রাসী ইমেজের কারণে সেই হাজারীরও আর ক্ষমতার রাজনীতিতে ফেরা হয়নি। আওয়ামী লীগ শুধু গত ইলেকশন না, আজতক ফেনীর রাজনীতি দলের সঙ্গে তার সব ধরনের সংশ্রব বন্ধ রেখেছে! সেই তোফায়েল আহমদও এখন দলে অচ্ছ্যুত! দেশের রাস্তাঘাটের ভাঙ্গা-বেহাল অবস্থায় পার্লামেন্টে বক্তৃতা দিলেও শেখ হাসিনাকে হত্যার ক্ষেত্র প্রস্তুতকারী অপবাদ দিয়ে তাকে হুমকি দিয়ে, শাসিয়ে দিয়ে চুপ করে দেন দলের তার ভাতিজা সাধারণ সম্পাদক!

এখন লক্ষীপুরের আবুল খায়ের স্টাইলে নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী ইমেজের শামীম ওসমানকে ফেরাচ্ছে কিনা তা শিগগির দেশের মানুষের কাছে স্পষ্ট হবে। আগাম যে ধারণাটি দেওয়া যায় তাহলো `শামীমবরণ` সূচির সঙ্গে একযোগে `আইভি বিদায়` বিষয়টিও বাস্তবায়ন হয়ে যাবে! এমপি কবরীর যা-ই ইমেজ থাক, তাকে শারীরিক হেনস্থার ঘটনা নারায়ণগঞ্জ তথা দেশের মানুষ পছন্দ করেনি। কবরী নারায়ণগঞ্জের মেয়ে না। তার সঙ্গে যা করে পার পাওয়া গেছে , তা হয়তো আইভির বেলায় সম্ভব না। আইভি নারায়ণগঞ্জের মেয়ে, চুনকার মেয়ে। সেখানকার জনপ্রিয় জননেত্রী। নারায়ণগঞ্জের বউ বা অভিনেত্রী নন।

সেখানকার সাংবাদিক সূত্রগুলোর বক্তব্য এখন ইলেকশনে ভোটের হিসাবে শামীম ওসমানের চল্লিশভাগ সম্ভাবনা থাকলে আইভির সম্ভাবনা ষাটভাগের বেশি। এখন চট্টগ্রামের মতো এমন একটি রেডিমেড ক্যান্ডিডেট যদি বিএনপি পেয়ে যায় খুব স্বাভাবিকভাবেই তা লুফে নিতে চাইবে।

সূত্রগুলোর ধারণা তাই আইভিকে যারা ভয় দেখাচ্ছে তারা আসলে ভয় পেয়েই ভয় দেখাচ্ছে। নিজেদের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের ভয়। ভবিষ্যতে আবার বিদেশ পালিয়ে যেতে হয় কীনা সে ভয়! কারণ আইভি ইলেকশনে থাকলে অন্যজনের কোনও সম্ভাবনাই নেই। কারণ ভোটতো দেয় পাবলিক। সন্ত্রাসীকে সে ভয় করে। এরপর ভোটের দিনে সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে চুপচাপ রায় দিয়ে আসে। এটা আইভি যদি আওয়ামী লীগ-বিএনপি কোন পক্ষের না থাকেন সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে তাও ঘটতে পারে নারায়ণগঞ্জে। আর যদি এবারের আওয়ামী লীগের জমানায় এখনও সেভাবে না ঘটা জোরজবরদস্তি কারসাজির অপচেষ্টা অবশেষে নারায়ণগঞ্জে হয়, আম যাবার সাথে ছালা যাবার বিপদ তৈরি হবে।

 আওয়ামী লীগের নমিনেশন না পেলে আইভি বিএনপিতে যাবেন, সূত্রগুলো সে ধারণাও সমর্থন করেনি। কারণ নিউজিল্যান্ডে অনেক সম্মানের নিরাপদ একটা জীবন ও ক্যারিয়ার তার আছে।

 ফজলুল বারীঃ সিডনি প্রবাসী সাংবাদি

বাংলাদেশ সময় ১৬৫৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।