গত ২৩ অক্টোবর ২০১১ তারিখে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমে ‘যাচাই না করেই অটোয়া আ’লীগের বিবৃতি, দোষ স্বীকার’ শীর্ষক শওগত আলী সাগরের উদ্দেশ্যমূলক লেখাটি আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। যা হলুদ সাংবাদিকতার নামান্তর।
প্রথমত: এখানে ‘দোষ স্বীকার’ তো কোনো প্রশ্নই আসে না। কারণ আমি একজন সচেতন রাজনৈতিক কর্মী এবং বঙ্গবন্ধুর সৈনিক হিসেবে মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার মতো মহৎ কাজে খুনীর ‘সম্পৃক্ততা’র খবরে উদ্বিগ্ন হয়ে নিন্দা জানিয়ে নৈতিক দায়িত্ব পালন করেছি মাত্র।
দ্বিতীয়ত: তাছাড়া-
ক. প্রতিবেদক জনাব শওগত আলী সাগরের সাথে এসব বিষয় নিয়ে কথা হয়, হয়েছে, তা সৌজন্যমূলক আলাপচারিতা। অথচ তিনি নিজের মতো করে মনের মাধুরী মিশিয়ে মনগড়া লেখা লিখে দিয়েছেন। আমি তার প্রতারণামূলক ‘অপ-সাংবাদিকতা’ তীব্র প্রতিবাদ করছি।
খ. এই লেখাটি ২৩ অক্টোবর অনলাইনে আসার পর জনাব সাগর লুকোচুরি আশ্রয় নিয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করে আমাকে যে ইমেইল করেছেন তা হলো: “I told you that I need to give Banglanews the fact I found from all people concern. I have sent them What ever you told me . I was not sure that they will publish it. But they did it. They put mu name as writer. But I was not ready to write anything for them. I have some choices and reservation in writing in the newspaper. I don`t write in all newspaper. Anyway,if you think that I have betrayed you then there is no point of talking anymore.”
তার এই ই-মেইল থেকেই তো প্রমাণ হয়, তিনি অসততার সাথে প্রতারণা করে মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন। কারণ তিনি বলেছেন- বাংলা নিউজকে অবগত করার জন্য লেখাটি পাঠিয়েছেন। আর বাংলা নিউজটুয়েন্টিফোর.কম না জানিয়েই শত্তগত আলী সাগরের নাম বসিয়ে অনলাইনে প্রকাশ করেছে। তিনি তার ছলচাতুরী ঊধূর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে আমার কাছে ভালো মানুষ সেজে ভিন্ন কথা বলেছেন।
গ. তিনি লিখেছেন: যাচাই বাচাইয়ের কথা, প্যাড চুরির কথা, সিগনেচার নকল করার কথা ইত্যাদি। যাচাই করা তো আমাদের দায়িত্ব না। এটা সাংবাদিক কিংবা তদন্ত কমিটির কাজ। তাছাড়া অপ্রাসঙ্গিকভাবে প্যাড চুরি এবং সই নকলের কথা তিনি কোথা থেকে পেলেন!(?)
তৃতীয়ত: বিজয় মেলা নিয়ে অনেক দিন ধরেই নানামুখী কোন্দল, কমিটি করা না করা নিয়ে মত বিরোধ, পাল্টাপাল্টি বিজ্ঞাপন প্রচার, প্রতিবাদ, অর্থের উৎস নিয়ে নানা প্রশ্ন, মন্ট্রিয়ল থেকে আপত্তি, মুক্তিযোদ্ধা-অমুক্তিযোদ্ধার প্রসঙ্গে প্রভৃতি তো অভ্যন্তরীণ সমস্যা।
তাই ‘অনিবার্য কারণে’ বাংলা কাগজের মাধ্যমে এক সপ্তাহ আগে মেলা স্থগিত করা হয়, যা সর্বত্রই আলোচিত হচ্ছিলো। তাঁর প্রেক্ষিতেই বিবৃতির প্রসঙ্গ এসেছে। সেখানে বিজয় মেলা নিয়ে আমাদের কোনো বিরোধ নেই, ভবিষ্যতেও থাকবে না। আমাদের বিরোধ খুনী নূর চৌধুরী ক্ষেত্রে।
চতুর্থত: ১৪ অক্টোবরের বিবৃতিতে তো কোথাও কাউকে অভিযুক্ত করা হয়নি এবং অপ-প্রচারের প্রশ্নই আসে না। উক্ত সংবাদেই তো বলা হয়েছিল- ‘একাধিক সূত্রের কথা’ এবং ‘সত্য মিথ্যা’ জানা যায় নি।
এখন তো বিষয়টি নিয়ে নিউজ, পালটা নিউজ, প্রতিবেদন, প্রতিবাদ, চিঠিপত্র, আইনি প্রসঙ্গ ইত্যাদি অযথাই আলোচিত হচ্ছে, যা অপপ্রচারেরই নামান্তর ।
পঞ্চমত: জনাব সাগর ই-মেইলে অবগত করেছেন যে, তিনি ‘যাচাই না করেই অটোয়া আ’লীগের বিবৃতি, দোষ স্বীকার’ লেখাটি তা প্রকাশের জন্য দেননি। তারপর প্রকাশ হয়েছে এবং পরবর্তীতে ২৬ অক্টোবর উক্ত লেখাটি টরন্টোর স্থানীয় আরো একটি কাগজে আবারও ছাপা হয়েছে!
অথচ উক্ত কাগজ আমাদের বিবৃতি ছাপেন নি। তা না ছেপেও আমাদের ‘ভুল স্বীকার’ করে বার বার স্বীকারোক্তি দাবি করেছেন। যা, জনাব সাগরের লেখায় প্রতিফলিত হয়েছে। শওগাত আলী সাগরের এই ধরনের উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ইয়লো-জার্নালিজমের নিন্দা জানাই।
বাংলাদেশ সময় ১৮৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১১