ঢাকা, বুধবার, ২৮ কার্তিক ১৪৩১, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মুক্তমত

ওরা কি মানুষ ছিল? ছিঃ! ছিঃ!

মাহবুব মিঠু, কন্ট্রিবিউটিং এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১১
ওরা কি মানুষ ছিল? ছিঃ! ছিঃ!

‘যে আগাইবা, তারে আগুনে ফেলবো’।
(একটি পত্রিকার খবর।

গত রোববার সিলেটে বাসে আগুন ধরিয়ে দিলে একজন মানুষ পুড়ে মারা যান)।

একদল লোক বাসে আগুন লাগিয়ে দিল। দাউ দাউ করে জ্বলছে বাস। আগুন, চারিদিকে আগুন। ভিতরে পুড়ছেন একজন মানুষ; বাঁচার আকুতি। তীব্র চিৎকার বাঁচাও! বাঁচাও। দগ্ধ হয়ে ছটফট করছেন! তাকে বাঁচাতে এগিয়ে যাচ্ছেন বাসের কিছু সহযাত্রী।

পাশে তখনো দাঁড়িয়ে মানুষের মতো কথা বলা কিছু হায়েনা।
‘যাবি না! গেলে তোদেরও আগুনে পোড়াবো’।

পিছিয়ে এলেন সবাই। তখনো জ্বলন্ত মানুষটির চিৎকার আকাশ বাতাসকে ভারি করে তুলছে। এক সময় হয়তো প্রাণপ্রদীপের সঙ্গে তার চিৎকারও থেমে গিয়েছিল। যারা মানুষসহ বাসে আগুন দিয়ে তার মৃত্যুকে প্রত্যক্ষ করেছিল, কিছু মানবিক বোধসম্পন্ন মানুষের সাহায্যের হাতকে ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে থামিয়ে দিয়েছিল, ওরা কি মানুষ ছিল?

ছিঃ! ছিঃ!
যে লোকটির মৃত্যু হলো সেদিন তার কি অপরাধ ছিল? কেউ জানে না!

বিরোধী দলের বেশ কিছুদিন ধরে রোড মার্চের মতো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে প্রচুর লোক সমাগম হচ্ছিল। জনগণও সাধুবাদ জানাচ্ছিল চির-পরিচিত রাজনৈতিক দলগুলোর হিংসাত্মক কর্মসূচি থেকে বের হয়ে এসে নতুন ধারার আন্দোলনের জন্য।

এর মাঝখানে হঠাৎ করেই এ সপ্তাহের শুরুতে আন্দোলন সহিংস রূপ নেয়। বিএনপি আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেবার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকে কেন্দ্র করেই এই গোলযোগ। এরই মধ্যে বিভিন্ন সংবাদপত্রে যে যার ঘরানার সেই পক্ষের হয়ে সংবাদ বিশ্লেষণ করা শুরু করে দিয়েছে।

বরাবরের মতো রাজনৈতিক সহিংসতায় যেটা হয় এবারও সেটা হবে। কে ঘটিয়েছে সেটা মুখ্য নয়। কাকে গ্রেপ্তার করলে বিরোধী দলকে ঠাণ্ডা করা যাবে সেটাই মূল উদ্দেশ্য।

বিভিন্ন পত্রিকা গোয়েন্দাদের উদ্ধৃতি দিয়ে নিজ নিজ সমর্থিত দলের পক্ষে সাফাই গাইছে। সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে শুরু করে বিভিন্ন মন্ত্রী যখন তদন্তের আগেই বলে দেন যে, অমুক ঘটিয়েছে তখন গোয়েন্দারা তো ইশারায় কাফি। বিএনপি আমলের জজ মিঞা কিংবা এই সেদিনের লোকমান হত্যার পরে খোকন নাটকের কথা মানুষ ভুলে যায়নি।

আমাদের ফেলুদারা সরকারের মনোবাসনা পূরণের জন্য কিনা করতে পারে এগুলো তারই প্রমাণ। এর বাইরে একটা সত্য বেরিয়ে এসেছে বিভিন্ন পত্রিকায়। বিশেষ করে বাংলানিউজটুয়ন্টিফোর.কম ‘জামায়াতের ফাঁদে বিএনপির ২০ নেতা’ শীর্ষক খবরটির মাধ্যমে থলের বিড়াল বের করে এনেছে। স্বাধীনতার শত্রু জামায়াত-শিবির পরিকল্পিতভাবে বিএনপির এই কর্মসূচিকে ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত করে ফায়দা লুটতে চেয়েছিল।

তারপরও কয়েকটি প্রশ্ন থেকে যায়! বিএনপি কেন তাদের লোক সমাগমের কথা আগেভাগে স্থানীয় প্রশাসনকে জানায়নি? তারা কি আশঙ্কা করেছিল যে, তাহলে প্রশাসন এবং সরকারি দল পথে পথে তাদের বাধা দেবে? সেই ভাবনাটা কি অমূলক? প্রতিবারই সেটা ঘটিয়েছে সরকার।

নাকি বিএনপির মধ্যে ঢুকে যাওয়া জামায়াতি চক্র এই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে জঙ্গি রূপ দেবার জন্য দলকে উলেটাপাল্টা বুঝিয়ে ‘গোপন খেলায়’ প্ররোচিত করেছিল? সত্যটা বের করতেই হবে।

জামায়াত-শিবির এককভাবে এর আগেও রাজপথ হঠাৎ করে জঙ্গী মিছিলের মাধ্যমে উত্তপ্ত করেছিল। দলের আটককৃত যুদ্ধপরাধীদের মুক্তি চেয়েছিল। এবারে তারা বিএনপির সাথে মিশে গিয়ে, বিএনপিকে অজ্ঞাতে রেখে পরিকল্পিতভাবে কমান্ডো স্টাইলে জ্বালাও-পোড়াও শুরু করে দিয়ে সবার অজ্ঞাতে পগার পার!

অপরাধী সাধারণতঃ ঘটনা ঘটিয়েই ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। জামায়াত-শিবিরের দাঙ্গা বাহিনীও তাই করেছে। এই মোনাফেকরা এর আগে চারদলীয় জনসভায় বিএনপির পেটের মধ্যে থেকে নিজেদেরকে গ্রেপ্তারের হাত থেকে বাঁচিয়েছিল। সুযোগ মতো এরা বিএনপিকে বিপদে ফেলে চম্পট! এই মোনাফেকরা একাত্তরেও গোটা জাতির সঙ্গে বেঈমানি করেছিল। নিজের দেশবাসীকে হত্যা করেছিল, পাকিস্তানি বাহিনীকে হত্যা করতে সহায়তা করেছিল। এরাই তখন নিজের মা-বোনদের পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে  তুলে দিয়েছিল।

এই মোনাফেকরা রাজশাহী, চট্টগ্রামে, খুলনাসহ দেশের সব স্থানে সেই আশির দশকে বিএনপি এবং ছাত্রদলের কাঁধে চেপে রাজনীতিতে ঢুকেছিল। এরাই পরে অসংখ্য বিএনপি এবং ছাত্রদলের কর্মীকে রগ কেটে, খুন করে, আহত করে এলাকাছাড়া, ভার্সিটিছাড়া করেছিল। এরাই আওয়ামী লীগের সঙ্গে একাট্টা হয়ে বিএনপি’র বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিল। এরপরেও বিএনপি এদের কিভাবে বিশ্বাস করে?

বিএনপি’র ভিতরেই ঘাপটি মেরে আছে এদের কিছু চর। এরাই দলের ভিতরের স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে কোনঠাসা করে রেখেছে। আজকে বিএনপির সঙ্গে এই যুদ্ধাপরাধীদের দলের আন্দোলন বিএনপিকে ক্ষমতায় নিয়ে দেবার জন্য নয়।

ওদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। নিজেরা বাঁচার জন্য আবারো তারা বিএনপি’র সঙ্গে একাট্টা। রাজনীতির এই ভাসমান বেশ্যাকে বিএনপিকে অবশ্যই পরিত্যাগ করতে হবে। না হলে ধীরে ধীরে জামায়াতের পেটে হারিয়ে যাবে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, মহান মুক্তিযোদ্ধা জিয়ার গড়া এই দলটি।

জামায়াত সৃষ্ট আসন্ন পরবর্তী ভয়াবহ বিপদ থেকে বাঁচতে এখনই এদের ছুড়ে ফেলার সময়।

এতো কিছুর পরেও বিএনপি মনে হয় না জামাতের সঙ্গ ছাড়বে। প্রধান দুই দলের ক্ষমতায় যাবার মোহ এমনই যে, একজন আবর্জনা ছুড়ে মারলেই আরেকজন ক্ষমতায় যাবার জন্য বা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সেটা টপ করে গিলে ফেলে।

অতীতে জামায়াতকে কি আওয়ামী লীগ প্রশ্রয় দেয়নি? আজকের মহাজোটের বন্ধু এরশাদও এক সময় বাংলাদেশের রাজনীতিতে অপাংক্তেয় ছিল। অথচ আজ নূর হোসেনের মৃত্যুবার্ষিকীতে দলের কোনো খোঁজ থাকে না। দল ব্যস্ত থাকে নূর হোসেনের খুনীকে নিয়ে এক মঞ্চে জনসভায়।

এই নূর হোসেন যুব লীগের কর্মী ছিলেন। এখন তারই খুনীকে দল চায়ের দাওয়াত দেয় ক্ষমতায় যাবার রাস্তা পরিষ্কার রাখার জন্য। এই হচ্ছে আমাদের রাজনীতি!

এই পরিস্থিতিতে দেশ বাঁচাতে, জনগণকে বাঁচাতে সুশীল সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। জামায়াত-শিবির এবং স্বৈরাচারী এরশাদের ব্যাপারে জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে।

যারাই এদের ক্ষমতায় যাবার সাঁকো হিসেবে ব্যবহার করবে জনগণ যেন তাদের ধিক্কার জানায়। সেটা কি সম্ভব? আমাদের দেশে রাজনীতি অন্ধভাবে যেভাবে উনুনঘর পর্যন্ত চলে গেছে সেখানে কে জামায়াত, আর কে স্বৈরাচার সেটা কি মুখ্য? নাকি দুই দলের দুই নেত্রী কি বলেছেন সেটাই শেষ কথা?

একটা দেশের অধিকাংশ জনগণ যেখানে সরাসরি রাজনৈতিক দলগুলোকে সমর্থন করে সেক্ষেত্রে দলগুলো ভুল পথে আগালে তাদের ফেরানো মুশকিল।

এই অন্ধ সমর্থনের কারণে দলগুলো কখনো তাদের ভুল শুধরে নেয় না। সন্ত্রাস থেকে ফিরে আসে না। গত রোববারের ঘটনায় সারা জাতি নির্বাক! পাশাপাশি কিছু সংবাদপত্রের এক পেশে আলোচনায় আমরা হতাশ। রোববারের মতো ঘটনা আমাদের দেশের রাজনীতিতে নতুন নয়। এ ধরনের জ্বালাও-পোড়াও ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। বিএনপিকে হঠাতে আজকের সরকারি দলের লাগাতার হরতালের সময়ে জ্বালাও-পোড়াও ঘটনা মানুষ ভুলে যায়নি।

কিন্তু কি কারণে জানি না, কিছু সংবাদপত্র সেই সময়ের সহিংস ঘটনাগুলোকে পাশ কাটিয়ে সংবাদ পরিবেশন করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। সেই দুই মাসের টানা হরতাল এবং ভাঙচুর সংবাদপত্রগুলো জোর করে ভোলাতে চাচ্ছে। আওয়ামী লীগের রাজাকারদের সঙ্গে সখ্যও জোর করে ভোলাতে চাচ্ছে। একটার বদলে দুটো লাশ ফেলার নৃশংস হুমকিও জোর করে ভোলাতে চাচ্ছে।

এভাবে এক পক্ষকে দায়মুক্তি দেওয়া অত্যন্ত অন্যায়। এটা তাদেরকে পুনরায় অপরাধ সংগঠনের পথ তৈরি করে দেয়। সঙ্গে সঙ্গে অন্যপক্ষকে তাদের সমর্থিত বুদ্ধিজীবী গোষ্ঠীর একই রকম সমর্থনে উৎসাহিত করে। মাঝখানে উভয়ের অপকর্ম, সব অপরাধ চাপা পড়ে যায়।

আজকের বিরোধী দল তখনকার বিরোধী দলের জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলনের সাফল্য দেখেছে। আরো দেখেছে, কিভাবে সময়ের প্রবাহ মানুষকে সব কিছু ভুলিয়ে দেয়। জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলনের মাধ্যমে কোনো ভাবে ক্ষমতায় যেতে পারলে এক সময় মানুষ আজকের নৃশংসতা ভুলে যাবে। যেমন ভুলে গিয়েছে আজকের সাধু বর্তমান সরকারের বিরোধী দলে থাকাকালীন ইতিহাস।

এই কারণে শুভ বুদ্ধিসম্পন্ন পত্রিকা এবং বুদ্ধিজীবীদের পক্ষপাতহীনভাবে সমস্ত অপরাধকে মূল্যায়ন করতে হবে। নিজের সমর্থিত দলের অপরাধ চেপে গেলে চলবে না। এর পাশাপাশি এ ধরনের সংঘাতের উৎস নিয়ে আলোচনা করতে হবে।

প্রতি সরকারের আমলেই বিরোধী দলকে তার নিয়মতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে বাধা দেওয়া হয়। তবে আওয়ামী সরকার প্রতিবারই সংগঠিতভাবে বিরোধী দলের কর্মসূচির সময়ে নিজের কর্মী বাহিনীকে নামিয়ে রাজপথ উত্তপ্ত করেছে।

বিএনপির আমলে যেমন মতিয়া, নাসিমদের পেটানো হয়েছিল, এবারও জয়নাল আবদিন, খোকাদের পেটানো হয়েছে। আন্দোলনে নামলেই হাজার হাজার মামলা। কেন?

গত ২৭ আগস্ট রাশেদ খান মেননের একটি উদ্ধৃতি ছেপেছিল বাংলানিউজটুয়ন্টিফোর.কম ‘সমালোচনার দ্বার রুদ্ধ হলে ষড়যন্ত্রের পথ প্রশস্ত হবে’ সরকার আজ বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে।

এমনকি গত বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে সাভারের স্মৃতিসৌধে সরকারি দলের সঙ্গে বিরোধী দলের সংঘাত হয়েছে। এ রকমটি চলতে থাকলে প্রধান বিরোধী দলের আন্দোলন ধীরে ধীরে চোরাগোপ্তা হামলায় পরিণত হবার আশঙ্কা রয়েছে।

এতে পুলিশ বাহিনী নিয়ে চলাফেরা করা সরকারি দলের নেতাদের কোন ক্ষতি না হলেও আম জনতার পুড়ে মরার আশংকা রয়েছে। দেশের স্বার্থে,জনগণের স্বার্থে বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বাধা দেবার সংস্কৃতি থেকে সরকারি দলকে বের হয়ে আসতে হবে।
 
রাজনীতিতে সংঘাত এখন একটা সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। আমরা আন্দোলনের সফলতাকেও দেখি কে কতোটা ভাঙচুর করতে পেরেছে, সেটার উপর ভিত্তি করে। অনেক সংবাদপত্রও সত্য-মিথ্যা যাচাই না করে একপেশে সংবাদ পরিবেশন করে সংঘাতকে উস্কে দেয়।

আমরা কেন নিরপেক্ষ হতে পারি না সংবাদ বিশ্লেষণে? একজন সুস্থ্, সচেতন মানুষ কখনোই রাজনৈতিক চেতনার উর্ধ্বে নন। কিন্তু রাজনৈতিক চেতনার সঙ্গে দলবাজি বা অন্ধ সমর্থন এক নয়। নিজের দলের মন্দটা ধরিয়ে দিয়ে তাকে সঠিক পথে রাখার চেষ্টাটাও রাজনৈতিক সচেতনতা। নিজের দলের অপকর্মকে ঢাকা দেবার চেষ্টা করা বা তাকে সমর্থন দেয়াটা দলবাজি বা অন্ধ কলমবাজি।

সাংবাদিক বা বুদ্ধিজীবীদের কাছ থেকে দেশের মানুষ দলবাজি বা অন্ধত্ব আশা করে না। যে লোকটা সেদিন মারা গেল তার দায় শুধু গুটিকয় আততায়ীর নয়। তার দায় এই সব ভ্রষ্ট দলবাজ সাংবাদিক এবং বুদ্ধিজীবীদেরও। এরাই যে যার সুবিধামতো নিজ দলকে বাঁচাতে গিয়ে প্রকৃত সত্যটাকে লুকিয়ে রেখেছেন। প্রতিবার রাজনীতির নামে এই হত্যা এবং ধ্বংসলীলা সংগঠনের কুশীলবরা থেকেছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে।

‘বাসের জানালা থেকে শুধু তাঁর পা দুটি ঝুলতে দেখা যায়’।

আমাদের মানবতাও ঝুলে আছে যুগ যুগ ধরে। সেই মানুষটি যেমন বাঁচার শেষ চেষ্টা হিসেবে পা দুটো বের করে আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন বাঁচার জন্য। আমরাও স্বাধীনতার পর থেকে হাত-পা সব বের করে দিয়ে আছি।

বাসটি আমাদের দেশেরই প্রতীক। জ্বলছে! দাউ দাউ করে! রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অনলে। ভিতরে আটকে পড়া লোকটি আমাদের গণতন্ত্র, আমাদের স্বাধীনতা। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসা মানুষগুলো ছিলেন দেশপ্রেমিক, শান্তিকামী জনতা। যাদের ভয়ে ভীত হয়ে তারা গণতন্ত্র, স্বাধীনতাকে আগুনে ফেলে নির্বাক হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন, তারা হলো আমাদের রাজনীতিবিদ, এক চোখা কলমবাজ, বুদ্বিজীবী। এরা নিজ দেশের চেয়ে, নিজ জনগণের চেয়ে দলের ক্ষুদ্র স্বার্থকে বড় করে দেখেন।

বাংলাদেশ সময় : ১৪২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।