ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সালথায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় বিএনপির ৩ নেতাকর্মী গ্রেফতার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০২২
সালথায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় বিএনপির ৩ নেতাকর্মী গ্রেফতার সালথা থানা

ফরিদপুর: ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় বিএনপির তিন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে ফরিদপুরের আদালতে তাদের পাঠানো হয়।

 

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ সাদিক বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।  

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলা সদরের সালথা সরকারি কলেজ মাঠের পাশে সড়কের ওপর এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শর্টগানের তিন রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার সময় চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।  

ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিস্ফোরিত ককটেলসহ নাশকতার কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম। এর মধ্যে তিনটি বিস্ফোরিত ককটেল বোমার টিনের কৌটার অংশ, ১১টি দেশীয় অস্ত্র কাতরা, চারটি স্টিলের পাইপ, পাঁচটি লোহার রড, ১২টি বাঁশের লাঠি।

বিস্ফোরণের ঘটনায় সালথা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আওলাদ হোসেন বাদী হয়ে বিস্ফোরণ দ্রব্য আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার পর রাতেই অভিযান চালিয়ে স্থানীয় বিএনপির তিন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।  

গ্রেফতাররা হলেন- সালথার আটঘর ইউনিয়নের কাকিলাখোলা গ্রামের মো. মহিদ্দীন মাতুব্বরের ছেলে উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পদক মো. নাছির মাতুব্বর (৪৩), আটঘর ইউনিয়নের বিভাগদী গ্রামের মৃত তফছির উদ্দীনের ছেলে বিএনপি কর্মী আমিনুল  ইসলাম (৩৮) ও পাশের কিত্তা গ্রামের মৃত আছির উদ্দীনের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৪৪)।  

স্থানীরা জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সালথা কলেজ মাঠের পাশে হঠাৎ করে পরাপর বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ হয়। তখন পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা তারা দেখেনি। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।  

সালথা থানার ওসি শেখ সাদিক বলেন, ককটেল বিস্ফোরণের খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। সে সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে দুর্বৃত্তরা। এতে দুই উপ-পরিদর্শকসহ (এসআই) চার পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে পুলিশ শর্টগানের তিন রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়লে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৪০-৫০ জনের নামে বিস্ফোরণ দ্রব্য আইনে একটি মামলা হয়েছে। শুক্রবার সকালে এ মামলাটি দায়ের করা হয়।

তিনি আরও বলেন, মামলা রুজু হওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাতেই অভিযান চালিয়ে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে সালথা ও নগরকান্দায় বিএনপির চার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।  

তারা হলেন- নগরকান্দা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান মুকুল, সহ-সভাপতি আলিমুজ্জামান সেলু, সদস্য লুৎফুর রহমান তালুকদার, কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদ শহিদুল ইসলাম বাবুলের ছোট ভাই মো. মোশারফ হোসেন ও সালথার বিএনপি কর্মী বিল্লাল হোসেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০২২
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।