ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

‘গেট আউট’ বলে শেখ হাসিনাকে ‘আউট’ করা যাবে না: পরিকল্পনামন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০২২
‘গেট আউট’ বলে শেখ হাসিনাকে ‘আউট’ করা যাবে না: পরিকল্পনামন্ত্রী ছবি: বাংলানিউজ

সিলেট: ধমক দিয়ে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে নামানো যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত।

দেশের জনগণ তাকে চায়। যেদিন চাইবে না, সেদিন তিনি চলে যাবেন। বিএনপি হুমকি-ধামকি দিয়ে আউট, গেট আউট বলে শেখ হাসিনাকে আউট করা যাবে না। বরং দেশের মঙ্গলের জন্য শামিল হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

শনিবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে নগরের রিকাবীবাজার কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে দিরাই শাল্লার উন্নয়ন পরিষদের আলোচনা সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

ইসলামী ব্যাংক থেকে একটি গ্রুপ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়া ও রিজার্ভ কমে যাওয়া নিয়ে বিএনপির অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, লুট হওয়া বিএনপি কেন, কেউইতো পছন্দ করবে না। আমরা পছন্দ করি নাকি? কথা হলো, এটা নিয়ে লাফালাফি, চিৎকার করে লাঠিসোটা হাতে নিয়ে রাস্তা দখল করলেতো সমাধান হবে না। সমাধান হবে ঠান্ডা মাথায়, উনাদের কোনো কৌশল জানা থাকলে বলুক, আমরা সেটা করবো। সবাই মিলে দেশের মঙ্গলের জন্য কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সুনামগঞ্জ হাওরে প্রচুর বোরো ফলন হয়। সমস্যা হলো এক ফলস এবং হুমকির মুখে থাকে। প্রাকৃতিক বন্যা হলে কারো কিছু করার নেই। অপ্রত্যাশিত বন্যা থেকে বোরো ফসল রক্ষায় বাঁধ দিয়ে কয়েকদিনের ব্যবধানে বোরো ধান তুলতে চাই। আমরা তাই কররো। এর কোনো বিকল্প নেই। আর কৃষি বিজ্ঞানীরা চিন্তা করতেছে ১৮০ দিন লাগে চারা থেকে ধান হতে। এ সময়টা কমিয়ে আনা যায় কিনা, সে চেষ্টা চলছে।

তিনি বলেন, হাওর অঞ্চলের মানুষ আমরা বিদ্যা শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবায় অনেক পিছিয়ে ছিলাম। সেদিক থেকেও এগিয়েছি। হাওরকে আমরা অবহেলিত দেখতে চাই না। হাওরের মানুষ পুঁথি পড়ে, ঘুমায় আর খায়, এ কথা বলে হাওরের মানুষকে খাটো করা যাবে না। হাওরের মানুষ অনেক পরিশ্রম করেন।

এম এ মান্নান বলেন, শেখ হাসিনার সরকার উন্নয়নের সরকার। এ সরকারের আমলে দেশব্যাপী ব্যাপক উন্নয়নযজ্ঞ পরিচালিত হচ্ছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, রাস্তাঘাট, অবকাঠামো, যোগাযোগসহ সবক্ষেত্রে উন্নয়নের মহাযজ্ঞ চলছে। এ ক্ষেত্রে দিরাই-শাল্লা তথা ভাটি এলাকাও আর পিছিয়ে থাকবে না। কেননা, ভাটি এলাকার মানুষের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আলাদা দরদ সবসময়ই ছিল এবং আছে। যে কারণে এ অঞ্চলের মানুষের স্বার্থে কোনো কিছু বললে তিনি ফিরিয়ে দেন না। এ সময় তিনি শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রাখতে সবার প্রতি অনুরোধ করেন।

মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. মিজানুর রহমান বলেন, শেখ হাসিনার দূরদর্শীতায় উন্নয়ন কৌশল গ্রহণে সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশ আজ রোল মডেল হিসেবে বিশ্বদরবারে পরিচিতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। সরকারের উন্নয়ন মহাযজ্ঞ দিরাই-শাল্লাও যুক্ত হবে।

দিরাই শাল্লার উন্নয়ন পরিষদের আহ্বায়ক ও অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. আজিজুল হকের সভাপতিত্বে এবং যুব সংগঠক সঞ্জয় চৌধুরী ও শফিকুল আলম চৌধুরী টিটুর যৌথ পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দিরাই শাল্লার উন্নয়ন পরিষদের সদস্য সচিব ও দিরাই কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা মিহির রঞ্জন দাস, এমসি কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শেখ নজরুল ইসলাম, শাল্লা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুস শহিদ, এমসি কলেজের গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দিলীপ রায়, রাগীব-রাবেয়া কলেজের অধ্যক্ষ শিফাত আলী, শাহজালাল উপশহর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান ও সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য রায়হান মিয়া।

আরও বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের কনসালটেন্ট হাবিবুর রহমান, দিরাই ইসকনের সভাপতি হরিচরণ নিতাই, সমাজকর্মী শেখ আব্দুল লতিফ, সংগঠক ঋতু রঞ্জন দেব ও সুলতান মাহমুদ।

অনুষ্ঠানে শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন হাফিজ মাওলানা নাজমুল ইসলাম ও গীতা থেকে পাঠ করেন অনাঙ্গ দাস।

সভা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০২২
এনইউ/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।