ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৫ কার্তিক ১৪৩১, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

সব স্বৈরাচারকে হার মানিয়েছে আ. লীগ সরকার: গয়েশ্বর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০২২
সব স্বৈরাচারকে হার মানিয়েছে আ. লীগ সরকার: গয়েশ্বর

ঢাকা: অতীতের সব স্বৈরাচারকে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার হার মানিয়েছে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। বলেছেন, এদেরকে স্বৈরাচার, ফ্যাসিবাদী নাকি কর্তৃত্ববাদী কোনটা বললে জনগণের সামনে সঠিকভাবে তুলে ধরা যায়, তা বাংলা বা ইংরেজি অভিধানে খুঁজে পাচ্ছি না।

শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) ‌‘ঐতিহাসিক ২২ ডিসেম্বর, ১৯৮৪ স্মরণে রিজভী আহমেদ এবং বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে রাজশাহী ইউনিভার্সিটি ন্যাশনালিস্ট এক্স স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (রুনেসা)।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমরা স্বৈরাচার হিটলার, চেঙ্গিস খান, হালাকু খান, আইয়ুব খানের মানুষ মারার গল্প জানি। অনেক গল্পই আমরা ইতিহাসে পড়েছি। কিন্তু বর্তমান সরকারের পতনের পর যে ইতিহাস লেখা হবে, সেই ইতিহাসের কাছে হালাকু খান, হিটলার, চেঙ্গিস খান, এরশাদের গল্প টিকবে না, হারিয়ে যাবে।

সব বিজয় কিন্তু অহংকারের নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, নবাব সিরাজদৌলা পলাশীর যুদ্ধে পরাজিত হয়ে ইতিহাসের পাতায় প্রশংসিত। আবার মীর জাফর জয় লাভ করার পরও ঘৃণিত। তার বংশধররাও তার পরিচয় দেয় না। শেখ হাসিনা যতই বিজয়ের হাসি হাসুক, এই বিজয় কিন্তু তার কপালে কলঙ্কের তিলক এঁকে দিয়েছে। এটা স্পষ্ট আজীবন থাকবে, মৃত্যুর পরও থাকবে।

গাজীপুরে আওয়ামী লীগ অফিস ভাঙচুরে বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গত ১৪ বছরে আওয়ামী লীগ যে অত্যাচার করেছে, আমাদের ছেলেরা তাদের অফিসের কাছ দিয়ে ভুলেও হাঁটাচলা করে না। তারা কীভাবে আওয়ামী লীগের অফিস ভাঙচুর করবে? অথচ এমন একটা বানোয়াট গল্প দিয়ে গাজীপুরে একটি ইউনিয়নের বিএনপি সভাপতি আলী আজম খানকে আসামি ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ডান্ডাবেড়ি কাকে পরানো হয়? যে সন্ত্রাসী, খুনি, অপরাধী বা জেলখানায় গিয়ে অন্যান্য অপরাধীদের উত্যক্ত করে তাদের। গাজীপুরের ওই নেতার এমন কোনো অপরাধ নেই, এমনকি জেলখানার ভেতরেও তার পায়ে ডান্ডাবেড়ি, হাতে কড়া ছিল না। অর্থাৎ তাকে যখন মায়ের জানাজায় প্যারোলে নিয়ে আসা হয়েছে তখন ডান্ডাবেড়ি ও হাতকড়া পরানো হয়েছে যাতে সে পালিয়ে যেতে না পারে। অথচ ব্লগার অভিজিৎ হত্যা মামলার আসামি প্রকাশ্যে নিজে হেঁটে আদালত থেকে চলে গেল। তার হাতে কড়া ছিল না, পায়ে ডান্ডাবেড়ি ছিল না। সে পালিয়ে যায়নি। সরকার তাকে পালিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করছে নতুন নাটক সৃষ্টির জন্য।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ক্ষমতাসীনরা তাদের অত্যাচার, নির্যাতন এবং সরকার বিরোধী আন্দোলনকে দাবিয়ে রাখার জন্য যেসব পদক্ষেপ নেয়, তার পাল্টা জবাব দিতে হবে। যদি আমরা দেশটাকে মুক্ত করতে চাই, যদি আমরা গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে চাই। আমাদের লড়াইটা আগাগোড়া গণতন্ত্রের। গণতন্ত্রের লড়াইয়ের জন্য আজকে যারা ত্যাগ স্বীকার করছেন, জেল জুলুমের শিকার হচ্ছেন এগুলো পরিশোধ করতে এই ফ্যাসিবাদের পতন ঘটাতে হবে।

রুনেসা সভাপতি অধ্যক্ষ বাহাউদ্দিন বাহারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মল্লিক মো. মোকাম্মেল কবীরের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি নুরুজ্জামান তপন, সহ-সভাপতি মমিনুল হক পিন্টু, সংগঠনিক সম্পাদক মতিয়ার রহমান, যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব আলম ফরহাদ, ইউসুফ আলী মোল্লা প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০২২
এসসি/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।