মেহেরপুর: মেহেরপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আওয়ালকে নাশকতা মামলায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গাংনী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদুর রহমানের নেতৃত্বে সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত ৯টার দিকে বামন্দী বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
আব্দুল আওয়াল বামন্দী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন বলেও জানা গেছে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গত ১০ ফেব্রুয়ারি বামন্দীর একটি মাদরাসার মাঠে বিএনপির প্রস্তুতি সভায় পুলিশের অভিযানকালে বিএনপি নেতাকর্মীরা একটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। সে সময় ঘটনাস্থল থেকে পাঁচটি অবিস্ফোরিত ককটেল, দুইটি রামদা ও আটটি লাঠি জব্দ করা হয়। পরে বামন্দী ও বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিএনপির আট নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়।
এরা হলেন- গাংনীর বামন্দী নিশিপুর গ্রামের ফজলু মেলেটারির ছেলে গাংনী উপজেলা কৃষকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল হাসান শাওন (৩৫), ভোদরুল আলমের ছেলে শ্রমিকদল নেতা ও বামন্দী বাজারের ব্যবসায়ী মাহাবুল হক পলাশ (৪৫), নিশিপুর গ্রামের আয়ূব আলীর ছেলে বামন্দী ইউনিয়ন পরিষদের নিশিপুর ওয়ার্ডের মেম্বর ও নিশিপুর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি শাহালম (৩৫), বামন্দী সেন্টারপাড়া এলাকার আজিজুল হকের ছেলে ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম (৩২), গাড়াবাড়িয়া গ্রামের আব্দুর রহমান ফকিরের ছেলে কামরুজ্জামান (৪৭) ও সাহারবাটি গ্রামের আয়ূব আলী ফকিরের ছেলে আমানুর রহমান তমাল (৫৫)।
এ ঘটনায় বামন্দী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই ইসরাফিল হোসেন বাদী হয়ে ১৮ জনের নামে নাশকতার পরিকল্পনা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে গত শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর-১২। পরের দিন ১২ ফেব্রুয়ারি বিএনপি নেতা ও সাবেক ইউপি মেম্বর এই উপজেলার কুলবাড়িয়া গ্রামের জিয়ারত আলীকে (৬৫) গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতার আব্দুল আওয়ালকে মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালের দিকে আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর কারাগারে পাঠানো হবে বলেও জানান ওসি আব্দুর রাজ্জাক।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৩
এসআরএস