ঢাকা, শনিবার, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

ভাস্কর্য সরানো রাষ্ট্রের অনাকাঙ্ক্ষিত ভয়াবহতার প্রমাণ: রব

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৩
ভাস্কর্য সরানো রাষ্ট্রের অনাকাঙ্ক্ষিত ভয়াবহতার প্রমাণ: রব

ঢাকা: রবীন্দ্রনাথের ভাস্কর্য গুম এবং তা আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন।

রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তারা এই প্রতিবাদ জানান।

তারা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রাতের আঁধারে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি প্রতিবাদী ভাস্কর্য সরিয়ে দিয়ে রাষ্ট্রের অনাকাঙ্ক্ষিত ভয়াবহতা প্রমাণ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রবি ঠাকুরের ভাস্কর্যটি সরিয়ে ঠিক কাজ করেছে বলেও দাবি করেছে। কবিগুরুর ভাস্কর্যের ভাঙা অংশ অর্থাৎ ভাঙা মাথাটি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আবর্জনার স্তূপে পড়ে থাকতে দেখা যায়। এটিই কি কবিগুরুর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের নিদর্শন? এভাবেই ফ্যাসিবাদের ন্যায্যতা তৈরি করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার শিক্ষার্থীরা বিদ্যমান অপশাসন ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা স্তব্ধ করার প্রতিবাদে রাজু ভাস্কর্যের পাশে রবি ঠাকুরের একটি প্রতীকী ভাস্কর্য অস্থায়ীভাবে স্থাপন করেছিলেন।

রব ও স্বপন বলেন, পূর্বানুমতি নিয়ে ভাস্কর্য স্থাপন করা এবং প্রতিবাদী স্লোগান লেখার আইন মেনে চললে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন বা শহীদ মিনার গড়ে উঠত না। পাকিস্তানিরাও রাতের আঁধারে শহীদ মিনার গুঁড়িয়ে দিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে পারিনি, তারাও পরাস্ত হয়েছে। বর্তমান অপশক্তির পরাজয়ও সন্নিকটে।

তারা বলেন, বিবেকজাগ্রত শিক্ষার্থীরা 'গুম হয়ে গেছেন রবীন্দ্রনাথ’– লেখা ব্যানার ঝুলিয়ে দেওয়ার পরও সরকার বুঝতে পারছে না কী ভয়াবহ আগুন নিয়ে ছাত্রদের সঙ্গে খেলছে। সংগ্রামী ছাত্র সমাজ গণতান্ত্রিক ও মানবিক ভাবাদর্শে উজ্জীবিত হয়ে বিদ্যমান ভয়ঙ্কর অচলায়তন ভাঙার নবশক্তিতে জেগে উঠছে। বল প্রয়োগ ও ভয়-হুমকি আর ভাস্কর্য ভেঙে দিয়ে বিবেকের কণ্ঠস্বরকে কোনোদিন স্তব্ধ করা যাবে না।

যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সব গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও মুক্তি সংগ্রামের সূতিকাগার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত, সেখানে আজ আন্দোলনকারী শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করার হুমকি দেওয়া হয়, যা অত্যন্ত বেদনাদায়ক, বলেন তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৩
এমএইচ/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।