ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

জিয়া-এরশাদ-খালেদা রাজাকারদের প্রতিষ্ঠাতা: নৌ-প্রতিমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২৩
জিয়া-এরশাদ-খালেদা রাজাকারদের প্রতিষ্ঠাতা: নৌ-প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা: বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান, তার স্ত্রী খালেদা জিয়া ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতাহুসেইন মুহাম্মদ এরশাদকে রাজাকারদের প্রতিষ্ঠাতা বলে মন্তব্য করেছেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

সোমবার (২৭ মার্চ) ঢাকায় মতিঝিলের বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কার্যালয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন’  শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়। এতে খালিদ চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন।

তিনি বলেন, জিয়া, এরশাদ, খালেদা মুক্তিযোদ্ধাদের পেছনে ফেলে দিয়ে রাজাকারদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন। নতুন প্রজন্ম এখন বাংলাদেশের মূল ইতিহাস জানতে পেরেছে। ফলে সেই জায়গায় বাংলাদেশ আর কখনও ফিরে যাবে না। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ করতে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় কারিগরের ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি জানান।

নৌ-প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির অধিকারের জন্য মানুষকে একত্রিত করে স্বাধীন সার্বভৌম একটি দেশ দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু একটি সুখি, সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। যেখানে স্বাধীনতার সুখ থাকবে এবং স্বাধীনতার সুখ প্রতিষ্ঠার জন্য বঙ্গবন্ধু সাড়ে তিন বছরে দেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন। ঠিক তখনই শুরু হয় ষড়যন্ত্র।

যুক্তরাষ্ট্র ও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের নোবেল বিজয়ীদের মন্তব্য ছিল- বাংলাদেশ একটি ডেথ কেস। বাংলাদেশের কোন সম্ভাবনা নেই। বাংলাদেশের দিকে তাকিও না; বরং অন্য দেশের দিকে তাকাও যাদের সম্ভাবনা আছে। সামাজিক সংস্থাগুলোকে আহ্বান জানানো হয়েছিল বাংলাদেশের দিকে না তাকাতে। এসব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে দরিদ্র রাষ্ট্র বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশে উন্নীত করেন। আর সে সময় তাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। আমরা স্বাধীনতার স্বাদ পাইনি; স্বাধীনতার সুখ পাইনি।


খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করছি। আমরা যখনই সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করছি তখনই আমাদের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা হচ্ছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু অস্থায়ী সরকারের (প্রথম সরকার) রাষ্ট্রপতি ও তাজউদ্দীন আহমেদ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। এ সরকারের অধীনে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়েছে। সেক্টর কমান্ডাররা এ সরকারের অধীনে যুদ্ধ পরিচালনা করেছেন। এগুলো নির্ধারিত বিষয়। এগুলো নিয়ে কোনো বিতর্ক নয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, স্বাধিকার, মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব নিয়ে কোনো বিতর্ক চলবে না। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন বলেই পাকিস্তানিরা তাকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছিল। এই জায়গাটায় যারা বিতর্ক করতে চায় তাদের সাথে কোনো আপোষ নেই।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল বলেই আপামর বাঙালি জাতি বেনিফিসিয়ারি হয়েছিল। আমরা একটি জাতিসত্তার পরিচয় পেয়েছিলাম। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বেনিফিসিয়ারি হয়েছিল স্বাধীনতা বিরোধী, রাজাকার আলবদর-আলশামসরা। আজকে জাতীয় রাজনীতিতে বক্তব্য দেন মির্জা ফখরুলরা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা না করলে এসব পরিবারের জাতীয় পর্যায়ে আসার কোনো সুযোগ ছিল না। আসতেন মুক্তিযোদ্ধারা; মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানরা।

নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম, বীর উত্তম এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক, নাট্যকার ও অভিনেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন ইউসুফ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) দেলোয়ারা বেগম, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর, নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর মো. নিজামুল হক, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান এস এম ফেরদৌস আলম এবং বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২৩
জিসিজি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।