ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জিয়াউর রহমানের অবৈধভাবে গঠিত বিএনপি আজ গণতন্ত্রের কথা বলে, গণতন্ত্র উদ্ধারের কথা বলে। গণতন্ত্র হরণকারীদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না।
শুক্রবার(১৯ মে) রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কাজলা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় আওয়ামী যুবলীগের শন্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা আজম এসব সব কথা বলেন।
যুব লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে এ শান্তি সমাবেশ হয়।
শান্তি সমাবেশে মির্জা আজম আরও বলেন, ১৯৮১ সালের ৩০ মে আগ পর্যন্ত জিয়াউর রমান যতদিন বেঁচে ছিল ততদিন এদেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়েছিল জিয়াউর রহমান। ১৯৯১-৯৬ এবং ২০০১-২০০৬ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থেকে অত্যাচার-নির্যাতন, গুম, খুনের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল। আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্টে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে আইভী রহমানসহ ২৪ নেতাকর্মীকে হত্যা করেছিল। তাদের সেই সময়ে দুর্বিসহ দিন কাটিয়েছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগের নেতাকর্মীরা।
মির্জা আজম বলেন, বিএনপি সরকারের সময় আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঘরে ঘুমাতে পারেনি, ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারতো না, প্রতিটি নেতাকর্মীর নামে ডজন ডজন মামলা দিয়েছিল। আমার নামেও প্রায় তিন ডজন মিথ্যা মামলা করেছিল। আর আজ শেখ হাসিনার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়। বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা বহাল তবিয়াতে রয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য করছে, আন্দোলন করছে, আওয়ামী লীগ তাদের বাধা দেয় না, এটিই গণতন্ত্র। এটিই রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার মানবিকতা।
তিনি যুবলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, অতীতে যেভাবে রাজপথে থেকে ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেছেন, সামনের দিনগুলোতেও একইভাবে রাজপথে থেকে বিএনপি-জামায়াতের সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকলে দেশে অগ্নিসন্ত্রাস, খুন, গুম, রাহাজানি বেড়ে যায়। সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা থাকে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা জনগণের পাশে আছি, তাদের বিপদে-আপদে সহায়তা করছি, সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় নিয়োজিত। আর সেই কারণেই আজকের এ শান্তি সমাবেশ। বিএনপি-জামায়াত জঙ্গিগোষ্ঠী যেন মানুষের জানমালের ক্ষতি ও তাদের শান্তি নষ্ট করতে না পারে সে দিকে যুবলীগের নেতাকর্মীদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। যেখানেই বিএনপি-জামায়াত অন্যায়-অত্যাচার করবে সেখানেই কঠোরভাবে প্রতিহত করতে হবে।
এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা এবং সঞ্চালনা করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য মনিরুল ইসলাম মনু, যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. হেলাল উদ্দিন, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী ও দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, যুবলীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেন পাভেল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক মো. শামছুল আলম অনিক, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত ও উপ-ধর্ম সম্পাদক হরে কৃষ্ণ বৈদ্য।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০২৩
এসকে/জেএইচ