ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোরআন-হাদিস বহির্ভূত কোনো কিছু সমর্থন করেন না মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক নৌ পরিবহন মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান খান বলেছেন, তিনি (প্রধানমন্ত্রী) ইসলাম রক্ষায় কাজ করছেন।
শনিবার (৫ আগস্ট) মরহুম পীর হযরত মাওলানা গোলাম রহমান রহ. এর জীবন ও কর্ম নিয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ মুজাহিদ জাকিরীন কমিটি।
আলোচনা সভায় শাজাহান খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কখনো কোরআন-হাদিস বহির্ভূত কোনো কিছুই সমর্থন করেন না এবং করবেনও না। আজকে বাংলাদেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ তৈরি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ছাড়া আর কেউ এটি করেননি। কওমি মাদরাসাকে সরকারি স্বীকৃতিভুক্ত করা হয়েছে। আজকে স্কুল-কলেজ আর কওমি মাদরাসার সার্টিফিকেট একই। এটিতো শেখ হাসিনার অবদান। এভাবে ইসলাম রক্ষার সব কাজ শেখ হাসিনা করে আসছেন।
তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান সৃষ্টি হয়েছিলো মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকায়। আমরা যেই পাকিস্তানকে ভোট দিয়ে আনলাম সেই পাকিস্তান আমাদের ওপর নানা ধরনের অত্যাচার ও নির্যাতন করা শুরু করলো। এ অত্যাচার-নির্যাতন থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু দেশকে স্বাধীন করার সিদ্ধান্ত নিলেন। এ সিদ্ধান্তেই মুসলমানরাই দুইভাগে বিভক্ত হয়ে গেলো। একটি স্বাধীনতার পক্ষে আরেকটি বিপক্ষে।
তিনি বলেন, এখন কথা হলো যারা বিপক্ষে ছিল তারাও তো মুসলমান। তো এরা কি ধরনের মুসলমান। তাদের আমরা কি মুসলমান বলতে পারি। আজ বাংলাদেশ যে জায়গায় দাঁড়িয়েছে তার জন্য বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যার অবদানই সবচেয়ে বেশি। তারা না থাকলে আজকে এ জায়গায় দেশ দাঁড়াতো না। আমাদের এটিও মনে রাখতে হবে সন্ত্রাস-ফ্যাসাদ সৃষ্টিকারীকে আল্লাহ পছন্দ করে না। সুতরাং, আমাদের সবার দায়িত্ব কোনো মুসলমান যাতে এ সন্ত্রাস-ফ্যাসাদ সৃষ্টি না করে।
আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুরের পীর আলহাজ্ব মাওলানা আলী আহমাদ চৌধুরী দা.বা.।
এ সময় তিনি বলেন, আজকে দেশে যত উন্নয়নই দেখা যায় সব উন্নয়নই আওয়ামী লীগ সরকার করেছেন। কিন্তু নাস্তিকদের প্রভাবে ইসলামের ওপর কিছু আঘাত এসেছে। এর ফলে সব উপকার ও উন্নয়নগুলো ম্লান হয়ে যায়। মুসলমানের কাছে ইসলামের চেয়ে বড় কোনো কিছু নেই। মুসলমানের বড় স্বার্থ হলো ইসলাম রক্ষা করা। ফলে মুসলমানের স্বার্থের দিকে লক্ষ্য রাখলে এ দেশের মানুষ সবচেয়ে বেশি খুশি থাকে।
তিনি আরও বলেন, ইসলামের জন্য আমাদের বুজুর্গরা যেভাবে কাজ করেছেন আমরাও ঠিক সেভাবেই কাজ করে যাব। পাশপাশি দেশের যে ক্রান্তিলগ্ন চলছে সেটিও দূর করতে হবে। আমরা চাই উভয়ের মিলনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হোক।
বাংলাদেশ মুজাহিদ জাকিরীন কমিটির সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা হাবীব আহমাদ চৌধুরী দা.বা. এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুরের পীর আলহাজ্ব মাওলানা আলী আহমাদ চৌধুরী দা.বা., বাংলাদেশ মুজাহিদ জাকিরীন কমিটির নায়েবে আমীর মাওলানা শামসুল হক, মুন্সিগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মোখলেছুর রহমান ও টাঙ্গাইল জেলা শাখার উপদেষ্টা মোহাম্মদ চান মিয়া।
বাংলাদেশ সময়: ২০০২ ঘণ্টা, আগস্ট ৫, ২০২৩
এসসি/জেএইচ