ঢাকা, মঙ্গলবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২১ মে ২০২৪, ১২ জিলকদ ১৪৪৫

রাজনীতি

লক্ষ্মীপুর-৩: স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের ‘মোনাফেক’ বললেন নৌকার প্রার্থী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৩
লক্ষ্মীপুর-৩: স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের ‘মোনাফেক’ বললেন নৌকার প্রার্থী

লক্ষ্মীপুর: আসন্ন সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের নৌকার প্রার্থী গোলাম ফারুক পিংকু ওই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা এম এ সাত্তারের পক্ষে কাজ করা কর্মীদের ‘মোনাফেক’ আখ্যা দিয়েছেন ।  

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা শহরের মাদাম এলাকার নিজ কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

 

পিংকু বলেন, আমরা কোনো মোনাফেককে ছাড় দেবো না। মোনাফেকি যে করে, তাকে এ দল করার আর সুযোগ দেওয়া যাবে না। যারা এমএ সাত্তারের (ট্রাক প্রতীক) কাছে যাচ্ছে- তালিকা করেন, আমি তাদের সঙ্গে কথা বলবো। তাদের বোঝান- নৌকার বিপক্ষে যাস না। দরকার হলে সভাপতির (পিংকু) কাছ থেকে টাকা লইয়া দিমু। যে টাকা বিদ্রোহী প্রার্থীর কাছ থেকে পাস, তার চেয়ে...।

তিনি আরও বলেন, যারা আওয়ামী লীগ করে, যারা প্রকৃত মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি। তারা কখনো দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারে না। যারা নেত্রীর সিদ্ধান্ত মানে না, তারা আওয়ামী লীগের সদস্য হতে পারে না। যারা বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে যাচ্ছে সামান্য কিছু টাকার লোভে, তাদের বারণ করেন। তাদের (বিদ্রোহী পক্ষ) বোঝান নৌকার বিপক্ষে কাজ না করতে। আর না হয় আমার সঙ্গে কথা বলিয়ে দেন। আমি তাদের বলি- ৫শ’ টাকা ১ হাজার ২ হাজার টাকার জন্য নিজের চরিত্র নষ্ট করিও না। দলের সঙ্গে মোনাফেকি করিও না। যেভাবে আমি তোমাদের সম্মান করবো ও মর্যাদা দেবো, যেভাবে আমার সঙ্গে কথা বলতে পারবা, এভাবে অন্যদের সঙ্গে কথা বলতে পারবা না। আর যদি তারা কথা না শোনে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে।  

মতবিনিময় সভায় পিংকু আরও বলেন, ৫ নভেম্বরের উপনির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের পরও আমি এমএ সাত্তারকে ফোন দিয়েছি, তিনি রিসিভ করেননি। তিনি আমার নির্বাচনী কাজে একদিনের জন্যও অংশগ্রহণ করেননি। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের তিনি আর্থিকভাবে সহায়তা করেছেন। তিনি যদি আওয়ামী লীগই করতেন, তখন তিনি আমার জন্য কাজ করতেন। তিনি আওয়ামী লীগ করেন না। এরপর সাত্তার সাহেবের মনোনয়নপত্র বৈধ হওয়ার পরদিন আমি তাকে ফোন করেছি। তিনি ফোন রিসিভ করেছেন। আমি বলেছিলাম, সাত্তার সাহেব, আপনি যদি নৌকা পেতেন। আমি হলফ করে বলতে পারি, আমি আপনার নির্বাচন করতাম। আমি কখনো বিদ্রোহী হয়ে নির্বাচন করতাম না। আমি ২০১৮ সালে একেএম শাহজাহান কামালের সঙ্গে মনোনয়ন পেয়েছি। পরে দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমি সরে গেছি। তখন আমি এককভাবে শাহজাহান কামালের সঙ্গে নির্বাচন করেছি।

প্রসঙ্গত, রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ সাত্তার লক্ষ্মীপুর-৩ আসন থেকে ট্রাক প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন। নৌকা প্রতীকে ভোট করছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু। এ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য একেএম শাহজাহান কামালের মৃত্যুর পর গত ৫ নভেম্বরের উপনির্বাচনে পিংকু প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৩
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।