ঢাকা, বুধবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বিএনপির সঙ্গে বেহেশতেও যেতে চাই না: কাদের সিদ্দিকী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১১ ঘণ্টা, মার্চ ৩, ২০২৪
বিএনপির সঙ্গে বেহেশতেও যেতে চাই না: কাদের সিদ্দিকী

ঢাকা: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলটির নেতৃত্ব দিলে তাদের সঙ্গে বেহেশতেও যেতে চান না বলে জানিয়েছেন কৃষক শ্রমিক জনতা জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী।

তিনি বলেছেন, আল্লাহ রাব্বুল আল আমিন আমাকে যদি জামায়াতের সাথে বেহেস্তে নিতে চান, আমি তাদের সাথে বেহেশতেও যাব না।

আমাদের ভাতিজা জিয়াউর রহমানের পুত্র তারেক রহমান ইংল্যান্ডে বসে যদি বিএনপির নেতা হয়, নেতৃত্ব দেয় তাহলে আমি সেই বিএনপির সাথেও বেহেশতে যেতে চাই না।

রোববার (৩ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) আয়োজিত ২ মার্চ ঐতিহাসিক পতাকা উত্তলন দিবসের আলোচনা সভায় কাদের সিদ্দিকী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, যতক্ষণ না পর্যন্ত তারেক রহমান দেশে আসেন ততক্ষণ পর্যন্ত দেশের জনগণের নেতৃত্ব তিনি দিতে পারবেন না। এতে যদি আমার ফাঁসিও হয়, আমি সেখানেও এ মন্তব্য করব, তারপরেও কোনভাবে বিদেশে থাকা অবস্থায় তারেক রহমানের নেতৃত্ব আমি মেনে নেব না।

এ সময় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রবের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনি যদি দেশের জনগণের মুক্তির জন্য তাদের নেতৃত্ব দেন, আমি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আপনার সাথে আছি।

নিজেকে পরাজিত সৈনিক উল্লেখ করে কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, আমি এবার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলাম। এই নির্বাচনে আমি একজন পরাজিত সৈনিক। আমার ধারণা ছিল, এই নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে যাবে। আমার এত অনুরোধেও আমার দলের নেতাকর্মীদের অর্ধেকও এই নির্বাচনে ভোট দিতে যায়নি। আমি শেখ হাসিনাকে গদিতে বসাতেও আসিনি, আবার গদি থেকে সরাতেও আসিনি। বর্তমানের আওয়ামী লীগ ভাসানী বা বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ নয়। এ আওয়ামী লীগ লুটপাটের আওয়ামী লীগ। সেই জন্য দেশের জনগণের কাছে ক্ষমতা আনার জন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে সংগ্রাম করতে হবে।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সিনিয়র সহ-সভাপতি তানিয়া রবের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল পাটোয়ারির সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, জাতীয় শ্রমিক জোটের সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাড. হাসনাত কাইয়ুম, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সার, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু, গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, জেএসডির সহ-সভাপতি অ্যাড. সানোয়ার হোসেন তালুকদার, জেএসডির সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সিরাজ মিয়া, জাতীয় আইনজীবী জোটের আহ্বায়ক অ্যাড. কে এম জামিল, জেএসডির সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ এস এম আনোয়ার হোসেন, জেএসডির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক জোটের সভাপতি মো. মোশাররফ হোসেন, জাতীয় যুব পরিষদের সভাপতি এ এস এম শামসুল আলম নিক্সন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০২৪
এসসি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।