ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

শেখ হাসিনার বান্ধবীরা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে বসে আছেন: ফারুক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৪
শেখ হাসিনার বান্ধবীরা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে বসে আছেন: ফারুক

ঢাকা: এখনো শেখ হাসিনার বান্ধবীরা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়ে বসে আছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবদিন ফারুক।

তিনি বলেন, শান্তিতে নোবেল জয়ী ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে রাজনৈতিকভাবে হেয়-প্রতিপন্ন করার চক্রান্ত চলছে।

গুলি করার লোক, বিএনপি অফিস ভাঙার নায়ক মেহেদী, হারুন, বিপ্লব ওরা কোথায়? এখনো পুলিশের বিভিন্ন পদে শেখ হাসিনার লোকেরা বহাল তবিয়তে আছেন। এদের যদি আইনের আওতায় না আনেন, তাহলে মানুষ কথা বলবে, মানুষ কষ্ট পাবে। অনুগ্রহ করে এদের আইনের আওতায় আনুন।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের আয়োজিত এক প্রতিবাদী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জয়নাল আবদীন ফারুক বলেন, খুনি হাসিনার ক্ষমা নেই। খুনি হাসিনাকে বাংলাদেশে এনে বিচার করতে হবে। দেশের যেসব পুলিশ কর্মকর্তা শেখ হাসিনার নির্দেশে গুলি করেছেন তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। না হলে আমাদের ছাত্র সমাজের যারা আত্মাহুতি দিয়েছেন, তারা কবরে থেকেও শান্তি পাবেন না।

অন্তর্বর্তী সরকারকে সময়ক্ষেপণ না করার অনুরোধ জানিয়ে জয়নাল আবদীন ফারুক বলেন, জনগণের প্রত্যাশা আপনাকে (ড. ইউনূস) পূরণ করতে হবে। বাংলাদেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো যারা ধ্বংস করে দিয়েছে, যারা বিচার-বিভাগকে নিজের তল্পিবাহক করেছেন, যারা শ্রেফ সংসদকে নিজের দলের কর্মী সভায় পরিণত করেছে, যারা বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনকে ধ্বংস করেছে, তারা আজকে প্রেস কনফারেন্স করে বিদায় নিলে চলবে না। তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

তিনি আরও বলেন, যতদিন শেখ হাসিনা ক্ষমতায় ছিল, ততদিন নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, আমার নেত্রীকে বিনা কারণে সাজা দিয়েছে। সেই শেখ হাসিনার বিচার আমরা দেখে যেতে চাই। শেখ হাসিনাকে ভারতে থেকে ফেরত আনতেই হবে, আনার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।

তিনি বলেন, আবু সাঈদের রক্তের দাগ না শুকাতেই, এই সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে দেশকে অশান্ত করার প্রক্রিয়া আমরা দেখতে পাচ্ছি। একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে, স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন কর্মী হিসেবে আমাদের দায়িত্ব অপরিসীম।

বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক বেগম রাশেদা বেগম হিরা, বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের উপদেষ্টা রোটারিয়ান এম নাজমুল হাসান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২৪
এসসি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।